সংক্ষিপ্ত

বীরভূম জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করাও প্রয়োজন। আবার, মেলায় আসা মানুষের অসচেতনতার জন্য বারবার পরিবেশ আদালতের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার জন্য ব্যবহার করা যাবে না বিশ্বভারতীর মাঠ, কর্তৃপক্ষের এইরূপ ঘোষণা পর এবার এর স্পষ্ট জবাব চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এই বিষয় নিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে যে, কেন কর্তৃপক্ষ পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দিতে রাজি নন।

২০২২ সালে আসন্ন পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বিশ্বভারতী। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বোলপুরের বাসিন্দা গুরুমুখ জেঠওয়ানি। কলকাতা হাই কোর্টে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করে, বিগত বছরগুলিতে শর্তসাপেক্ষে মেলার আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু অনেক আগতই পরিবেশ রক্ষার শর্ত মেনে চলেন না। সেই কারণে বারবার পরিবেশ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

অপর দিকে, শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ জানিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রাজি না হলে ওই মাঠে মেলা করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু, পৌষ মেলা পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত মেলা, বাংলা এবং বাংলার বাইরে থেকেও বহু পর্যটক এই মেলার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। ফলত, বীরভূম জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করাটাও প্রয়োজন। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই ঐতিহ্যশালী মেলা হয়ে আসছে। তাই আদালতের উচিত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা।

শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা শেষ বার আয়োজিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় মেলা করার অনুমোদন দেননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে আয়োজিত হয়েছিল পৌষমেলা। কিন্তু ২০২২-এ এসে শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লির মেলার মাঠেই পৌষমেলা করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা পূর্বপল্লির মাঠেই করার দাবিতে কয়েক সপ্তাহ আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ‘শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফেও পৌষমেলা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীকে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

 

আরও পড়ুন-
কেবলমাত্র পুরাণের বিষ্ণুর বাহন নয়, বাস্তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরদার হতে চলেছে বাজপাখি
দিল্লির পুরভোটের প্রচারে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তুলে ধরলেন বাংলার দুর্নীতির উদাহরণ
দেশের উপরাষ্ট্রপতির আসনে বসেই বাংলায় ফের ধনখড়, স্ত্রীকে নিয়ে সোজা উপস্থিত হলেন কালীঘাট মন্দিরে