সংক্ষিপ্ত
বারবার একই পরিবারে কোটি কোটি টাকার পুরস্কার। তবে কি কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমই ছিল এই লটারি?
এখনও কাটেনি অনুব্রত মণ্ডের লটারি রহস্যের জট। এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল সিবিআই আধিকারিকদের হাতে। তদন্তকারীদের দাবি, একবার নয় একাধিকবার লটারি পেয়েছে মণ্ডল পরিবার। কখনও অনুব্রত মণ্ডলের নামে, কখনও আবার সুকন্যা মণ্ডলের নামে দফায় দফায় লটারির টাকা ঢুকেছে অনুব্রতর ঘরে। বারবার একই পরিবারে কোটি কোটি টাকার পুরস্কার। তবে কি কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমই ছিল এই লটারি? গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে লটারি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য।
গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে নতুন করে এক সূত্র খুঁজে পেল সিবিআই। এবার কেষ্ট-কন্যার নামেও লটারির টিকিটের হদিশ। একবার নয়, দু'বার লটারির টাকা ঢুকেছে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে। মোট টাকার পরিমাণ ৫১ লাখ। এর আগেও ২০১৯ সালে লটারির পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ টাকা ঢুকেছিল অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে। তবে কি গোরুপাচারের টাকার রংবদল করতেই এই লটারির ব্যবস্থা? ক্রমশ আরও জোড়ালো হচ্ছে সন্দেহ। কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আর কারও নামে লটারির টিকিট কেনা হয়েছিল কিনা সেবিষয়ও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
গত সপ্তাহতেই বোলপুরের লটারি দোকানে অভিযান চালিয়ে অনুব্রতর লটারি সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় তদন্তকারী সংস্থা। বিকেলের মধ্যেই নথি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে পৌঁছয় লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই বিক্রেতা জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে টিকিট বিক্রি করেননি তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে এক কোটি টাকার বিজেতা হিসেবে নাম উঠে আসে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। কেষ্টর লটারি জেতা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হলেও হেয়ালি কাটেনি। এরপর ফের একবার কোটি টাকার লটারি জেতেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরা গুপ্ত। এরপরই ডিয়ার লটারি প্রসঙ্গে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায় 'ডিয়ার লটারি আদতে ভাইপো লটারি।' ঘটনার পরই সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় আগে এই লটারি সংস্থা। জোরকদমে শুরু হয় তদন্তও।
গোরুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা জন্য নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। একই সপ্তাহের শুক্রবার বোলপুরের গাঙ্গুলি লটারি দোকানে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের সন্দেহ এই লটারির মাধ্যমে গোরুপাচারের মোতা অঙ্কের কালো টাকা সাদা করা হত। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে লটারি এজেন্টকে জেরাও করা হয়। অনুব্রত মণ্ডল আদৌ নিজে গিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন নাকি অন্য কারোর মাধ্যমে টিকিট কেটেছিলেন সেবিষয়ও জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন -
স্কুলের ঘরের ছাদে বড় ফাটল, আতঙ্কে ক্রমশ কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা, জেলায় শিকেয় শিক্ষা
নদিয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজে ফেরাচ্ছে পর্যদ, সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ১৮ নভেম্বর