গোডাউনে হানা দিতেই ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। গোডাউনের জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। সূত্রের খবর, কিউআর কোড জাল করে নামী কোম্পানির ওষুধের উপর লাগিয়ে চলছিল এই ধরনের প্রতারণা।
স্যালাইন বিতর্ক এখনও ফিকে হয়নি এরই মধ্যে জাল ওষুধের হদিশ রাজ্যে। এবার হাওড়ার আমতায় জাল ওষুধ চক্রের খোঁজ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ওষুধগুলিই রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, নকল ওষুধ রাখা হয়েছিল হাওড়ার আমতার ওই গুদামে । আচমকা হানা দিয়ে সেই গুদামে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ওষুধ। জানা গিয়েছে, হোলসেলারের মালিক জাল ওষুধ আমতায় আনতেন বিহারের পাটনা থেকে ।
আমতার মান্না এজেন্সি নামে একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার গোডাউনে হানা দিতেই ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। গোডাউনের জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। সূত্রের খবর, কিউআর কোড জাল করে নামী কোম্পানির ওষুধের উপর লাগিয়ে চলছিল এই ধরনের প্রতারণা। গোডাউন সিল করে দিয়ে ধৃতকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে ।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে জাল ওষুধ ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন এক মহিলা খাস কলকাতা থেকে। সেই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ যোগও পাওয়া যায় বলে জানা যায়। গোটা রাজ্যে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে এই সংস্থার স্যালাইন নিয়ে । পরীক্ষায় ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর তৈরি করা ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইনের ১৬টি নমুনাই ফেল করে বলেই সূত্রের খবর। এর পরও কী করে সরকারি একাধিক হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হতেই একাধিক প্রশ্ন তোলা হয় বিরোধী শিবির থেকে। প্রসূতি মৃত্যুও সেই বিতর্ককেও আরও উস্কে দিয়েছিল। এর আগে জাল জীবনদায়ী ওষুধের চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল খাস কলকাতার বুকে। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার জাল ওষুধ উদ্ধার হয়েছিল। এই জাল ওষুধ শরীরে যাওয়ার পর তার প্রভাবে কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎকমহলও। সেই সময় সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে সতর্ক করে হয়েছিল গোটা দেশের বাজারে ছেয়ে গেছে একাধিক নিম্নমানের ওষুধ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে
