সংক্ষিপ্ত
মালদার চাঁচলের ১ নম্বর ব্লকের শঙ্করকলা গ্রামের বাসিন্দা ছিল মৃত ব্যক্তি নারায়ণ দাস। ৩৫ বছরের নারায়ণ পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের। স্ত্রীর হাতে নির্মমভাবে খুন হল স্বামী। চোখে সূচ ফুটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মালদায়। স্বামীকে খুনে স্ত্রীর দোসর হিসেবে ছিল প্রেমিক। তারও খোঁজ করছে পুলিশ। যদিও স্ত্রী আর স্ত্রীর প্রেমিক গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যার মত করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানানোর পরই ভেস্তে যায় স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিকের চক্রান্ত।
মালদার চাঁচলের ১ নম্বর ব্লকের শঙ্করকলা গ্রামের বাসিন্দা ছিল মৃত ব্যক্তি নারায়ণ দাস। ৩৫ বছরের নারায়ণ পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাঁরই বাড়ির শোয়ার ঘরের বাইরে নারায়ণ দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গোটা শরীর ছিল ক্ষতবিক্ষত। তারপরই নিহতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে নিবতের পরিবারের বাকি সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, নারায়ণকে হত্যা করেছে তার স্ত্রী।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, নারায়ণের স্ত্রী পবিত্রা দাস দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাই নিয়ে পরিবারের দাম্পত্য কহল ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। পরিবারের সদস্যরা আরও জানিয়েছে, বুধবার নারায়ণ তাঁর বোনকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরে বেলা ৯টা নাগাদ। তারপর থেকেই গোটা বাড়ি ছিল ফাঁকা। সেই সময়ই স্ত্রী আর তার প্রেমিক মিলে নারায়ণের ওপর প্রবল অত্যাচার করে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ রাতের বেলাতেই নারায়ণকে মারধর করা হয়েছে। তাঁর চোখে সুচ ফুটিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা শরীরে সুচ ফোটান হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। নারায়ণকে অর্ধমৃত অবস্থায় বা মৃত অবস্থায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির সিলিংএর সঙ্গে। পরের দিন সকালেই নারায়ণের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা দ্রুত চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্ত্রীর প্রেমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চালিন হচ্ছে। পুলিশ সুপার প্রদীর কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায়।