সংক্ষিপ্ত

যদিও এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে যে কোনও মুহূর্তে এউ ঝড় মায়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনও উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

সোমবারের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরই অবস্থান করবে এই নিম্নচাপ। তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই রাজ্যে। মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ ও ৯ মে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার বেশ কিছু জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই ওড়িশার ১৮ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। মৌসম ভবন জানিয়েছে অন্ধ্রের বিজয়নগরম, শ্রীকাকুলাম, পার্বতীপুরম, এএসআর, আনাকাপল্লী, এলুরু, গুণ্টুর, কৃষ্ণা, এনটিআর, উভয় গোদাবরী, নেল্লোর, তিরুপতি, চিত্তুর, পালনাড়ু, প্রকাশম জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টি হতে পারে কাডাপা, আন্নামায়া জেলারও বেশ কিছু অংশে।

মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,'অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ উপকূল, ইয়ানামের বেশ কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।' বর্তমানে জানা যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ৮ মে নাগাদ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তারপর সেটি বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমার উপকূলে আগামী ১২ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে যে কোনও মুহূর্তে এউ ঝড় মায়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনও উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে বাংলা ছাড়াও ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপকূল দিয়েও বয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা। এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডফল নিয়ে কিছু জানানো না হলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও প্রশাসনের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে নজরদারি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে ৬ থেকে ৭ মে-র মধ্যে। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে তা নিম্নচাপে পরিণত হবে ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে। এরপর এটি দারুণ শক্তি ধারণ করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ মে তারিখের মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-র মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'মোকা' বলেও জানানো হয়।

আরও পড়ুন -

সোমবারই নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে ঘূর্ণাবর্ত, ক্রমশ গাঁঢ় হচ্ছে 'মোকা'র কালো মেঘ

উইকেন্ডেও ভিড় নেই দিঘায়, সৈকত শহরেও কি তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'?

ঘূর্ণিঝড় মোচা বাংলা-ওড়িশায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে? ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে বাতাস বইবে-জারি সতর্কতা