সংক্ষিপ্ত
এবার সেই সব দাবি নিয়ে 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু কী এই 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'?
কেন্দ্রীয় হারে ও বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। গতকালই রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। এবার আন্দোলন আরও জোড়দার করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। ডিএ মামলায় পেন ডাউন কর্মসূচি এবং ধর্মঘটের পর এবার 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটতে চলেছেন বিক্ষোভকারীরা। গতকালই ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরোতি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই সরকারি কাজকর্মে পড়েনি। ডিএ-এর পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের দাবিও ছিল তাঁদের। এবার সেই সব দাবি নিয়ে 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর পথে হাটতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু কী এই 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অফিস টাইমের পরও হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ সহ এই ধরনের সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলিতে কাজের ফরমাইশ করা হয়। বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা কাজের জন্য অফিসের বরাদ্দ সময়ের বাইরেও আমাদের কাজ করতে হয়। এবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই ধরনের গ্রুপে আসা কাজ আমরা আর করব না। এই ধরনের দাবি দাওয়া আর মেটানো হবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের কোনও সরকারি দফতরে কোনও কাজ হবে না বলেই জানিয়েছিল সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। তবে ধর্মঘট শেষে দেখা গেল শুক্রবারের ধর্মঘটের প্রায় কোনও প্রভাবই পড়েনি সরকারি দফতরের কাজকরররমে। হাজিরার হারও প্রায় ৯০ শতাংশ। এই মর্মে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যারা কাজে আসেননি তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। আন্দোলন রুখতে প্রথম থেকেই কড়া রাজ্য সরকার। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই ফরম্যাট পৌঁছে গিয়েছে দফতরে দফতরে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই উপস্থিতির হার জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দফতর।
উল্লেখ্য শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘটের প্রভাব দেখা গিয়েছিল রাজ্যে। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় দেখা গিয়েছে ধর্মঘটের প্রভাব। একাধিক সরকারি অফিসে কর্মচারিদের একাংশ কাজ বন্ধ করে ব্যানার পোস্টার হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। মহাকরণের বাইরেও বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে স্লোগান, ধরনা, অবস্থান করেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মী। এছাড়াও ধর্মঘটের জের দেখা দিয়েছে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল, কলেজগুলিতেও। যোগমায়া দেবী কলেজে সকাল থেকেই ক্লাস বন্ধ। পড়ুয়াদের সূত্রে খবর অধ্যাপকরা এলেও ক্লাস হবে না বলে জানানো হয়েছে। পঠনপাঠন বন্ধ সরকারি প্রাথমিক স্কুলেও শিক্ষকরা। তবে ছবিটা পালটে যায় সরকারি দফতরগুলির ক্ষেত্রে। ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও নবান্নে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি। শুক্রবার সকালে আবার হাজিরার রিপোর্ট তলব করা হয় নবান্নর পক্ষ থেকে। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন -
সপ্তাহান্তে চরম দুর্ভোগ, শিয়ালদহ মেইন লাইনে বাতিল একাধিক লোকাল ট্রেন
সরকারি দফতরের কাজে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি, অনুপস্থিত ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন?
পরিচয়পত্র ছাড়া মিলবে না প্রবেশাধিকার, নবান্নে ঢুকতে আজ মানতে হচ্ছে কী কী নিয়ম?