সংক্ষিপ্ত

আপাতত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলতে যেতে হচ্ছে তিহার জেলে। দিল্লির আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে।

 

গরু পাচারকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজত শেষ। দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ইডি সূত্রের খবর তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম আসামী সহগল হোসেন।

অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমে গরু পাচার-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর আসানসোল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। দীর্ঘ চেষ্টার পরেই ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পেরেছে। এর জন্য দিল্লির রাউল অ্যাভেনিউ আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও উঠেছিল অনুব্রতর মামলা। যাইহোক চলতি মাসের প্রথম দিকেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলে। তারপর থেকেই টানা জেরা করে ইডি। ডাকা হয়েছিল তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও। কিন্তু নানা আছিলায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই মামলায় আপাতত যে রেহাই নেই অনুব্রত তা স্পষ্ট হচ্ছে। আপাতত তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহার জেল।

বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। তাকে গ্রেফতার করার পরেও দল তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তিনি অনুব্রতর পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন। যদিও অনুব্রতর গ্রেফতারির পরে বীরভূমে ক্রমশই প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদ। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজেই হাত লাগিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

দিল্লির তিহার জেল- বিখ্যাত বা কুখ্যাত হিসেবে পরিচিত। তিহার গ্রামের নামকরণ থেকেই জেলের নাম করণ হয়। একটা সময় পঞ্জাব প্রদেশের অন্তগর্ত ছিল। বর্তমানে জাতীয় রাজধানীর অন্তর্গত। জানকিপুর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিহার জেল। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পরিচিত তিহার জেল। এটাই ভারতের সবথেকে বড় জেল বা সংশোধনাগার। কিরণ বেদী এই জেলের দায়িত্বে থাকার সময়ই তিনি কয়েদিদের সংশোধনের কাজ শুরু করে। সেই সময়ই তৈরি হয়েছিল তিহার আশ্রম। এই জেলের বিখ্যাত আসামীদের তালিকায় একদিকে যেমন রাজনীতিবিদদের নাম রয়েছে তেমনই কুখ্যাত ব্যক্তি। ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান সাহিত্যিক অভিজিৎ ব্যানার্জি, কানহাইয়া কুমার, লালু প্রসাদ যাদব, পি চিদম্বরম, আন্না হাজারে, সঞ্জয় দত্তের মত নামকরা ব্যক্তিত্বরা। অন্যিদিকে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারী সতবন্ত ও খের সিং, আফজল গুরু, মকবুল ভাট, চার্লস শোভরাজ, ফুলনদেবীর দলের সদস্য শের সিং রানা।