সংক্ষিপ্ত

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট এবং দুর্নীতি, জোড়া অভিযোগে বিদ্ধ তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেই প্রথমে গ্রেফতার হন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও তাঁকে যুক্ত করা হয়। এবার আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে জেলে গিয়ে সন্দীপকে জেরা করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালত সন্দীপকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় ইডি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। সন্দীপের পাশাপাশি এই  মামলায় ধৃত বিপ্লব সিংহ ও আফসর আলিকেও জেরা করতে চাইছে ইডি। সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন আফসর। বিপ্লবও সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁরা তিনজনই গ্রেফতার হওয়ার পর জেলে আছেন। সেখানেই তাঁদের জেরা করে দুর্নীতির হদিশ পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

সন্দীপের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ

সন্দীপ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর মাথার উপর স্বাস্থ্য ভবনের আশীর্বাদ থাকায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর সন্দীপের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ অগাস্ট বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই বিশেষ তদন্তকারী দল কাজ শুরু করার আগেই ১৭ অগাস্ট এই মামলার ভার সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মর্গ থেকে দেহ লোপাট, জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতি-সহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন সন্দীপ। তাঁকে প্রথমে জেরা করে সিবিআই। এরপর স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করে ইডি।

সন্দীপের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা

সন্দীপের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলির স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি। এই কারণেই জেলে গিয়ে জেরার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

কোন পুলিশ অফিসার সেই রাতে সঞ্জয় রায়কে ডেকেছিল? সিবিআই-এর হাতে বড় তথ্য

আরজি কর চার্জশিট রেহাই নেই সন্দীপ-অভিজিতের, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের লম্বা তলিকা

YouTube video player