দেখা যায়, একদল শিক্ষার্থী টোটোতে করে যাচ্ছে এবং চিৎকার করছে। তারা তাদের বই-খাতা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলছে। কিছু বাইক আরোহী এই ঘটনার ভিডিও তৈরি করছেন। শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়ছে। 

সম্প্রতি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাস্তায় টোটোতে করে যাচ্ছে এবং তাদের বই-খাতা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। এই ঘটনাটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। ভিডিওটিতে ( যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে নি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা) দেখা যায়, একদল শিক্ষার্থী টোটোতে করে যাচ্ছে এবং চিৎকার করছে। তারা তাদের বই-খাতা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলছে। কিছু বাইক আরোহী এই ঘটনার ভিডিও তৈরি করছেন। শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়ছে।

এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। কেউ লিখেছেন, আমারা শিখেছিলাম বইখাতা পেন পায়ে ঠেকলে ঈশ্বর জ্ঞানে প্রণাম করতে হয়। আজও তা মনে চলি। আরেকজনের বক্তব্য, এই প্রজন্মকে দেখলে মনে হয় শিক্ষা আজ কোথায়? তবে অনেকেই মনে করছেন,পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে এমন কাজ করেছে শিক্ষার্থীরা। আনন্দ প্রকাশের জন্য এমন করে বই-খাতা ছিঁড়েছে।বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের আচরণকে সমর্থন না করে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা মনে করেন, বই-খাতা জ্ঞানের প্রতীক। মা সরস্বতীর দান, তাই বই খাতাকে সম্মান জানানো উচিত। এই ধরনের আচরণ বাড়তে থাকলে জ্ঞানের প্রতি অশ্রদ্ধা তৈরি করতে পারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ।

এই ঘটনার কথা শুনে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্বরা জানালেন, আধুনিকতার এই যুগে দেখা যাচ্ছে অনেক পড়ুয়ার মধ্যে থেকে শিক্ষার প্রতি যেন শ্রদ্ধাটাই চলে গিয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের দুনিয়া বাড়তে থাকায় ক্রমেই যেন বইয়ের গুরুত্ব কমেছে। বই পড়ে জানার আগে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ প্রশ্নের উত্তর জানতেই বেশি উৎসাহী গুগল সার্চ করে। ফলে সেই কারণে বইয়ের প্রতি আগের মতো আগ্রহ থাকছে না বহু পড়ুয়ার মধ্যে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আনন্দ করা স্বাভাবিক। তবে, সেই আনন্দ প্রকাশের ধরণটি অবশ্যই সমর্থনযোগ্য হতে হবে। বই-খাতা ছিঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। শিক্ষার্থীদের উচিত জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং এমন কাজ করা যা সমাজ এবং দেশের জন্য ভালো।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।