সংক্ষিপ্ত

SSC Verdict: শিক্ষাঙ্গনে কালো মেঘ, পঠনপাঠন শিঁকেয়! শিক্ষক জামাইয়ের চাকরি চলে যাওয়ায় প্রকাশ্যে রাস্তায় কাঁদছেন শশুর। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নদীয

SSC Verdict: শিক্ষাঙ্গনে কালো মেঘ, পঠনপাঠন শিঁকেয়! শিক্ষক জামাইয়ের চাকরি চলে যাওয়ায় প্রকাশ্যে রাস্তায় কাঁদছেন শশুর। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নদীয়াতেও এই তালিকায় রয়েছেন একাধিক শিক্ষক এবং শিক্ষিকা।

জানা গিয়েছে, নদীয়ার শান্তিপুরের শরৎকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লীনা বিশ্বাসের দাবি, প্রায় দুই হাজার ছাত্রী রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। বরাবরই শিক্ষিকার সংখ্যা কম থাকায় যে দুজনের চাকরি চলে গেল তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। এখন স্কুল কীভাবে চলবে সেটা নিয়েই যথেষ্টই অনিশ্চিততার মধ্যে রয়েছেন তিনি। একজন ছিলেন ইংরেজি শিক্ষিকা অন্য একজন ভৌতবিজ্ঞানের। এদের দুজনেই দুটি করে ক্লাস করাতো ছাত্রীদের।

অন্যদিকে ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিএড নিয়ে পড়াশোনা করছে শান্তিপুরের সাথী চ্যাটার্জী নামে এক বধূ। তার স্বামী শিলিগুড়ির একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এখন ওই শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় শান্তিপুরের বাসিন্দা শশুর শিবু চ্যাটার্জি প্রকাশ্যে রাস্তায় ভেঙে পড়লেন কান্নায়। তাঁর দাবি তিনি ব্রাহ্মণ ঘরের সন্তান, কিন্তু কোনও জাতের বিচার না করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন ছেলে স্কুলের শিক্ষক বলে। এমত পরিস্থিতিতে জামাইয়ের চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে শিবু চ্যাটার্জী নামের ওই ব্যক্তি।

দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চাকরি হারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। সেরকমই নদীয়া জেলার শান্তিপুরে ও বিভিন্ন স্কুলে চাকরি হারা হয়েছেন একাধিক শিক্ষক। শান্তিপুর এলাকার সূত্রগড় গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় জনের চাকরি চলে গিয়েছে। যাদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষিকা একজন নন টিচিং স্টাফ। জানা গিয়েছে, দুজন পদার্থবিদ্যা। দুজন জীবন বিজ্ঞান এবং একজন শিক্ষাবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন চাকরি-হারা পাঁচ জন শিক্ষিকার মধ্যে। অপরদিকে শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর অঞ্চলের নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয় চারজন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। যেখানে, একজন পিওর সাইন্স, একজন ইংরেজি এবং বাকি দুজন বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ছিলেন। অপরদিকে শান্তিপুরের রাধারানী নারী শিক্ষা মন্দির ওরিয়েন্টাল একাডেমী তন্তুবায় উচ্চ বিদ্যালয় সহ একাধিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরি চলে গেছে।

যদিও সেই সমস্ত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউই মুখ খুলতে নারাজ।

ওই স্কুলের টিচার ইনচার্জ সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন প্রতিটি শিক্ষকই খুব অভিজ্ঞ এবং ছাত্রদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে শিক্ষকতা করেছেন। আজ তাঁদের এই দুর্দিনে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। যদিও সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসবেন বলেই জানিয়েছেন টিচার ইনচার্জ। এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করতে ছাড়েননি সাধারণ মানুষ থেকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। বিজেপি তরফ থেকে জানানো হয় চাকরি হারাদের পাশে থেকেই এবার বুথে বুথে আন্দোলন শুরু হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।