সংক্ষিপ্ত

গত কয়েক দিন ধরে বারাসত এলাকায় ছেলেধরার গুজব রটেছে। এক বালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। ওই বালকের মৃত্যুর সঙ্গে শিশু চুরি বা ছেলেধরার কোনও সম্পর্ক নেই বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। তবু গুজব থামেনি।

বিগত কয়েকদিন ধরেই বারাসাত সংলগ্ন এলাকায় গুজব রটেছে ছেলে ধরার। ঘটনার সূত্রপাত হয় কাজী পাড়া এলাকায় এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। যা নিয়ে সমাজমাধ্যমেও শুরু হয় ব্যাপক চর্চা। চারপাশের গুজব আর সমাজ মাধ্যমের অপপ্রচারের জেরে ইতিমধ্যেই বারাসাত সংলগ্ন এলাকায় দুটি পৃথক ঘটনায় গণপিটুনির মুখে পড়েছেন এক ব্যক্তি এবং এক মহিলা সহ তার সঙ্গী।

গত কয়েক দিন ধরে বারাসত এলাকায় ছেলেধরার গুজব রটেছে। এক বালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। সমাজমাধ্যমেও তা নিয়ে চর্চা চলছে। ওই বালকের মৃত্যুর সঙ্গে শিশু চুরি বা ছেলেধরার কোনও সম্পর্ক নেই বলে আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। তবু গুজব থামেনি।

বুধবার এই গুজবের ফলে বারাসতের দুই এলাকায় দু'টি পৃথক ঘটনা ঘটে। মোল্লাপাড়ায় এক ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয় জনতা। অন্য দিকে, মডার্ন স্কুলের সামনে এক মহিলা এবং তাঁর সঙ্গীকেও একই ভাবে ছেলেধরা মনে করে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই ওই দু'জনকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে, তা সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আক্রান্ত তিন জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রসঙ্গত ছেলেধরার গুজব রটানো বন্ধ করতেই বারাসতের পুলিশ সুপার বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বারাসতে নাকি আদৌ কোনও শিশুচুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে যে বালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই গুজব রটেছিল তাকে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবারের ঘটনার তদন্তে নেমে দুই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। গণপিটুনি যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের বেশ কয়েক জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা ১৭। তা আরও বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত তিন দশক আগেও এভাবে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। সেসময় এলাকায় অচেনা লোক বা মহিলা দেখলেই এলাকাবাসীর রোষের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজনকে গণপিটুনিতে প্রাণ হারাতেও হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।