জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব অদিতি ঘোষ বলেন, ‘২০২৫ সালে এটিই প্রথম লোক আদালত মুর্শিদাবাদ জেলার। আজ সব থেকে বেশি মামলার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব’।তিনি জানান, ‘সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই বেঞ্চে বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে একজন মহিলা টোটো চালককে ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক অনন্য নজির গড়ল মুর্শিদাবাদ জেলা আইনি পরিষেবা বিভাগ। বহরমপুরের কান্তনগর এলাকার টোটোচালক রাধারাণী দাসকে বিচারকের আসনে বসিয়ে সম্মানিত করা হল। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে সংসারের হাল ধরা এই মহিলার জীবনসংগ্রামকে কুর্নিশ জানাল লোক আদালত।
জানা যায়, পাঁচ বছর ধরে টোটো চালিয়ে পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করার চেষ্টা করছেন রাধারাণী। অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা শেষ করতে না পেরে তাঁর ছেলে এখন কাজ করে কাপড়ের দোকানে। ছোট থেকেই দারিদ্র্যকে জয় করে নিজের চেষ্টায় স্বনির্ভর হয়েছেন রাধারাণী। এক নারীর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রাধারাণীকে বিচারকের আসনে বসিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা আইনি পরিষেবা বিভাগের এই উদ্যোগ নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
জেলা আইনি সহায়তা পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব অদিতি ঘোষের মতে, রাধারাণীর মতো ব্যতিক্রমী পেশার মহিলাদের সম্মান জানানো জরুরি। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরল জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব অদিতি ঘোষ বলেন, ‘২০২৫ সালে এটিই প্রথম লোক আদালত মুর্শিদাবাদ জেলার। আমরা আজ সব থেকে বেশি মামলার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব জনতার অংশগ্রহণের মাধ্যমে ’। তিনি এদিন আরও জানান, ‘সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই বেঞ্চে বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে একজন মহিলা টোটো চালককে ।
হঠাৎ এই সম্মান পেয়ে রাধারাণী কিন্তু এদিন কিছুটা ‘নার্ভাস’ হয়ে পড়েও জানালেন, ‘নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে করটা ভালো লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমার জীবন সংগ্রামের কথা অনেকেই জানেন। আমি আজ সারাদিন চেষ্টা করব সাধারণ মানুষ যাতে অন্ততঃ ন্যায় বিচার পায় তা সুনিশ্চিত করতে’। তিনি আনন্দের সঙ্গে জানান, এই সম্মান তাঁর জীবনসংগ্রামকে আরও উৎসাহ জোগাবে। পাশাপাশি এই ঘটনা সমাজের অন্যান্য মহিলাদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে। উপস্থিত সকলেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
