সংক্ষিপ্ত

বিকাশ ভবনে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সব নথি যাচাই করে সিবিআই-এর হাতে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

বিকাশ ভবনে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সব নথি যাচাই করে সিবিআই-এর হাতে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেট দুর্নীতির প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে ওই নথি থেকে।

সেই তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার, প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। গত জুন মাসে বিকাশ ভবনে টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। তল্লাশি শেষে বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে বস্তাভর্তি নথিপত্র উদ্ধার করে তারা। উদ্ধার হওয়া সেইসব নথিতে ছিল প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার (টেট) প্রার্থীদের তালিকা।

সিবিআই-এর দাবি, ওই তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য। তবে সেই সময় টেট দুর্নীতির সঙ্গে পার্থের যোগের কথা জানায়নি সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিকাশ ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে জানা গেছে যে, পার্থ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন এক আমলাকে।

সেই তালিকা থেকে কয়েকজনের চাকরিও হয়। এছাড়াও, সিবিআই-এর বাজেয়াপ্ত নথিতে প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে বলেও সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি গত ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। সেই গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেই নথিতে ছিল পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রাপ্তদের নামের তালিকা।

সিবিআই সূত্রে খবর, বিকাশ ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথি যাচাই করে উঠে এসেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। গত ১ অক্টোবর, বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তারপর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত।

তারপরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অপরদিকে গ্রেফতারির পরেও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আলাদা করে আবেদন জানায়নি সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। তারপরই মঙ্গলবার জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিকাশ ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত নথির সূত্র ধরেই এই জেরা বলে সূত্রে খবর।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।