সংক্ষিপ্ত

এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত।

এবার পুলিশের জালে ধরা পড়লেন খোদ কলকাতা পুলিশেরই প্রাক্তন এসআই। শুক্রবার, রাতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আব্দুল হাই নামের ৬১ বছরের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, তিনি কলকাতা পুলিশের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভাগে এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। এও নিয়ে পাসপোর্টকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল মোট ৯ জন।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাল পাসপোর্টকাণ্ডে তদন্তের সূত্রে শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার অশোকনগর থানা এলাকায় হানা দেয় তদন্তকারীদের একটি বিশেষ দল। রাত ১২.৪৫ নাগাদ সেখান থেকে আব্দুলকে গ্রেফতার করা হয় বলে সূত্রের খবর। তিনি আদতে অশোকনগরের কামারপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।

কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আব্দুল। পুলিশের এই বিভাগটি পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করে দেখত। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই বিভাগের অন্দরে থাকায় পাসপোর্ট জালিয়াতিতে সুবিধা করে দিতে পারতেন আব্দুল নিজেই।

তাঁকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া হত। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ভুয়ো পাসপোর্টের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের কোরা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং পাসপোর্ট আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে লালবাজার।

অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার একটি চক্র চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই চক্র বেশ কয়েকবছর ধরেই বেশ সক্রিয়। কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক এলাকায় হানা দিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারও করেছেন তদন্তকারীরা।

সবথেকে বড় বিষয়, একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে শুধু উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই। পাসপোর্ট জালিয়াতির জাল কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, কারা এর সঙ্গে যুক্ত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সবকিছুই। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন জালিয়াতি চক্রের জট খুলতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে, লাফিয়ে বাড়ছে গ্রেফতারির সংখ্যা।

খবর আসছে, ধৃত আব্দুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তাঁর মাধ্যমেই অন্য অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।