- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- DA মামলায় জয় নিশ্চিত! এই ৭টি কারণে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা
DA মামলায় জয় নিশ্চিত! এই ৭টি কারণে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা
DA Case: রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের আশা সুপ্রিম কোর্ট স্যাট ও কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখবে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সাতটি কারণ রয়েছে। কালীপুজোর পরই ঘোষণা হতে পারে ডিএ মামলার রায়।

সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা
সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন ওঠার পর শুনানি শেষে হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলা। রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। দীপাবলির পর কোর্ট যখন খুলবে তখই রায় ঘোষণা হতে পারে। তার আগে রাজ্য সরকারকে লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলাকারী অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তারপরই রায় ঘোষণা হবে।
ডিএ নিয়ে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা
রাজ্যের সরকারী কর্মী ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। মামলাতে তারাই জয়ী হবেন- এমনটাই আশা করছেন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের আশা সুপ্রিম কোর্ট স্যাট ও কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখবে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সাতটি কারণ রয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় কারণ
সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চের রায় অনুযায়ী সরকার যদি পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নেয়, তা সমস্ত সরকারি কর্মীদের জন্য কার্যকর করতে বাধ্য। এই রায় ডিএ মামলার একটি অন্যতম ভিত্তি।
কেন্দ্র ও রাজ্য নিয়মের সাদৃশ্য
ডিএ সংক্রান্ত বিষে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়মাবলী একই। তাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সেই দাবি ধীরে ধীরে জোরালো হয়েছে।
তৃতীয় ও চতুর্থ কারণ
তহবিলের অভাব অজুহাত!
রাজ্য সরকার প্রায়ই তহবিলের অভাবের কথা বলে ডিএ দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী তহবিলের অভাব ডিএ না দেওয়ার কোনও বৈধ কারণ হতে পারে না।
স্লাইডিং স্কেল
ডিএ গণনার ক্ষেত্রে স্লাইডিং স্কেল একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারনা। এটি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিএ নির্ধারণ করে। একাধিক উদাহরণও রয়েছে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ কারণ
রেস জুটিকাটা
কলকাতা হাইকোর্ট এর আগে ডিএ মামলায় যে রায় দিয়েছিল, রাজ্য সরকার তা উচ্চতর আদালতে চ্যালেঞ্জ করেনি। আইন অনুযায়ী রেস জুডিকাটা নীতি প্রযোজ্য হয়, তবে বিষয়টি ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
কেরলের উদাহরণ
কেরলের ডিএ নির্ধারতের পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে। কেরল-সহ ১৭টি রাজ্য তাদের নিজস্ব সিপিআই সূচক ব্যবহার করে। এআইপিআই নয়, এছাড়াও কেরল পাঁচ বছর অন্তর পে স্কেল পরিবর্তন করে যা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ভিন্ন।
সপ্তম কারণ
মৌলিক অধিকার লঙঘন
ডিএ না দেওয়াকে কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখান হয়েছে। এই যুক্তি আদালতে জোরালো ভাবে পেশ করা হয়েছে।

