সংক্ষিপ্ত
ভারতে নয়া রেশন নীতি আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এই নীতির বাস্তবায়নে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদেরও যুক্ত হওয়ার ডাক দিয়েছে কেন্দ্র।
নতুন রেশন নীতি বাস্তবায়িত করতে গেলে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদেরও সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন। রাজ্যগুলিতে রেশন-ব্যবস্থা কেমন চলছে, তা সশরীরে খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় দলের। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্র প্রস্তাব দিয়েছে যে, এই কাজে জেলাশাসক এবং সিনিয়র অফিসারদেরও যুক্ত করতে হবে। এমনকি, স্বয়ং মুখ্যসচিবকেই নিজে গিয়ে এই কাজে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্র। সমস্ত রেশন দোকানগুলি ঘুরে দেখার কাজ ২০২৩-এর ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলতে বলা হয়েছে। সেই পর্যবেক্ষণের পর অফিসারদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী ৫ জুলাই চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবে কেন্দ্র।
১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী এক বছর সারা ভারতে পুরোপুরি নিখরচায় রেশনের চাল-গম বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের খবর, গোটা দেশে নিখরচায় একই পরিমাণ রেশন বিলি করে মোদী সরকার একে ‘এক রাষ্ট্র, এক দাম, এক রেশন’ হিসেবে তুলে ধরবে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পকে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব অন্ন সুরক্ষা যোজনা’ নামকরণ করে নতুন মোড়কে চালু করার প্রস্তাবও রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এরই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে রেশন ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এই উদ্যোগে কেন্দ্রীয় খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রকের সচিব সুধাংশু পান্ডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সিনিয়র অফিসাররা কিছু সংখ্যক রেশন দোকানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। রাজ্যকে এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে জেলা শাসক, সচিব, প্রধান সচিব এবং অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের। কেন্দ্রীয় সচিব অনুরোধ জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব যেন নিজের ব্যস্ত সময়সূচি থেকে কিছুটা সময় বের করে অন্তত দু’-একটি রেশন দোকানের পরিস্থিতি নিজে খতিয়ে দেখেন। তা হলে বাকি অফিসারেরা উৎসাহ পাবেন। প্রসঙ্গত, বাকি রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদেরও একই কথা জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রায় ৩৯ ধরনের বিষয়ের উপরে পর্যবেক্ষণ করে অভিজ্ঞতা জানাতে হবে অফিসারদের। লিখতে হবে সবিস্তার মতামতও। তার মধ্যে অন্যতম, রেশন দোকানপিছু কত জন উপভোক্তা রয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা, রেশন ব্যবস্থায় চালু প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে কি না, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ রয়েছে কি না ইত্যাদি। তবে প্রশাসনিক কর্তা এবং রেশন ডিলারদের অনেকে মনে করছেন, এর সঙ্গে কেন্দ্র দেখতে চায়, ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’-র নাম ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেই প্রকল্পে দেওয়া খাদ্যশস্যের জন্য উপভোক্তার থেকে অর্থ নেওয়া হচ্ছে কি না, ইত্যাদি বিষয়গুলি।
আরও পড়ুন-
জানুয়ারি মাসেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে কোভিড, চিন নিয়ে আশঙ্কায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, আলোচনায় রইল শান্তির বার্তা
‘সাইবার অপরাধের রাজধানী’ জামতাড়ায় এবার ‘পুলিস কি পাঠশালা’, পিছিয়ে পড়াদের হাত ধরলেন আইএএস আইপিএস-রা