সংক্ষিপ্ত

অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি ওই নেতাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয় মুর্শিদাবাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু।

নদিয়া জেলার তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি। চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সরগরম মুর্শিদাবাদ জেলা। শাসক দলের দাপুটে নেতাকে কে বা কারা আক্রমণ করল, সেই খোঁজে এখন চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, আক্রান্ত হওয়া তৃণমূল নেতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।

২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার অন্তর্গত শিবনগর এলাকায় গোলাগুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষ। এদিন শিবনগরের টিয়াকাটা অঞ্চলে নদিয়ার ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ও গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের দলীয় সমর্থকদের।

অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি ওই নেতাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয় মুর্শিদাবাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত তৃণমূল নেতা নদীয়া জেলার নারায়ণপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, তাঁর নাম মতিরুল শেখ বলে জানা গেছে। তাঁকে আক্রমণকারী দুষ্কৃতীদের এখনও পাকড়াও করা যায়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। ঘটনার জেরে থমথমে হয়ে রয়েছে শিবনগরের টিয়াকাটা এলাকা।

নদিয়ার সংখ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন মতিরুল ইসলাম। মুর্শিদাবাদে নিজের ছেলের সঙ্গে তিনি হস্টেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ছেলের সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পরেই তিনি টিয়াকাটা এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন, সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এলাকা ঘিরে ফেলে এবং একের পর এক বোমা ফেলতে শুরু করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বোমার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। তখনই দুষ্কৃতী দল এসে মতিরুলকে ঘিরে ফেলে এবং একের পর এক গুলিবর্ষণ করতে থাকে। নেতার মাথায় এবং বুকে গুলি লেগেছিল বলে তাঁর সমর্থকদের দাবি। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর দেহরক্ষী ও ২ জন সিভিক পুলিশ থাকলেও তাঁরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। 

 এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দলের একাংশ। ঘটনাটি তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে স্পষ্ট দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। 


আরও পড়ুন-
বন্যা এবং আর্থিক সংকট, দুই দানবের চাপে পড়েও ভারতীয় বিমানঘাঁটি লাগোয়া বিমানবন্দর তৈরি অব্যাহতই রেখেছে পাকিস্তান
 পাহাড়ের রাজনীতিতে দুর্বল হল হামরো পার্টি, দার্জিলিং পুরসভা চলে গেল গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার হাতে 
জোকা-তারাতলায় মেট্রো প্রস্তুতি চূড়ান্ত, ডিসেম্বরের কত তারিখে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য খোলা হবে পার্পেল লাইন?