Hok kolorob Film: ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakrabarty) ছবি 'হোক কলরব' নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই বিতর্কে দলীয় বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)।
KNOW
Prafulla Chaki-Khudiram Bose: দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান দেওয়া দুই বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসুর অবমাননা নিয়ে যখন বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিট পিটিশন দাখিল করার কথা ভাবছে, তখন এই বিতর্ক হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন হুগলির (Hooghly) তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। বুধবার এই অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ বলেছেন, 'এখন অনেকে হয়তো ভাবছেন একজন বিশিষ্ট মানুষের নাম এভাবে রাখা হয়েছে। এর চেয়েও আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যেগুলি নিয়ে আলোচনা করা উচিত, ভাবা উচিত। এসব জিনিস নিয়ে আলোচনা না করলেই বোধহয় ভালো হয়।' কিন্তু যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিলেন, তাঁদের অপমানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী হতে পারে, তা স্পষ্ট করতে পারেননি রচনা।
রাজ চক্রবর্তীর ছবিতে দুই বিপ্লবীর অবমাননা
ব্যারাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakrabarty) ছবি ‘হোক কলরব’-এর টিজার প্রকাশিত হতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। টিজারে দেখা যাচ্ছে, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম বলছেন 'ক্ষুদিরাম চাকী।' তিনি আরও বলছেন, 'না, আমি ঝুলি না, ঝোলাই।' এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলীয় বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে রচনা বলেছেন, 'উনি চাইলে অন্য নাম রাখতে পারতেন। সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মানুষ মাত্রই তো ভুল হয়। সেটা হয়তো ওঁর হয়ে গিয়েছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। একটু উনিশ-বিশ হলেই মানুষ সেটাকে ইস্যু করে নেয়। এরকম নাম হয়তো আগে অনেক ব্যবহার হয়েছে। তখন তো সোশ্যাল মিডিয়া এত স্ট্রং ছিল না। আমার বাবার নাম রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তাঁর মেয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে বলত, এই রবীন্দ্রনাথ, এদিকে আয়। তাহলে যদি বলেন যে তুই-তোকারি করা হল, সেটা তো নয়।আমার বাবার নাম সেটা। উনিও হয়তো তাই সেইভাবে নামটা রেখেছেন ক্ষুদিরাম চাকি।'
২৩ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এই ছবি?
ব্যারাকপুরের বিধায়ক জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি তাঁর এই ছবি মুক্তি পাবে। তবে প্রফুল্ল চাকীর পরিবার যদি সত্যিই রিট পিটিশন দাখিল করে, তাহলে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ছবির মুক্তি স্থগিত হয়ে যেতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


