সংক্ষিপ্ত
"ঘটনাস্থলে লাল জামা পরা ব্যক্তিকে চিনি না" তথ্য লোপাট নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন বিনীত গোয়েল?
২২ ঘণ্টা পর অবশেষে খুলে যায় বিশাল ব্যারিকেড। লালাবাজারে ঢুকতে পারেন ২২ জন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকের প্রতিনিধি দল।
সিপি বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করার আর্জি জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দিয়েছিলেন একটা মেরুদণ্ডের প্রতীকী। চিকিৎসকদের ইস্তফা দেওয়ার অনুরোধের উত্তরে সিপি জানান, " আমি নিজের কাজে সন্তুষ্ট, আমার উচ্চতম আধিকারিকেরা আমাকে ইস্তফা দিতে বললে আমি অবশ্যই দেব।"
এরপর লাল বাজার থেকে ফিরে এসে চিকিৎসকদলের এক প্রতিনিধি জানান, " আমরা আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে সিপির পদত্যাগের দাবি রেখেছি। বিনীত গোয়েলের সামনেই ডেপুটেশন পড়া হয়। এরপর পয়েন্ট অনুযায়ী বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। যাতে তিনি জানিয়েছেন, যে তিনি তাঁর কাজে সন্তুষ্ট তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তবে তাঁর নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করবেন।"
"এ ছাড়াও ১২ ও ১৪ অগাস্টের ঘটনায় পুলিশের ব্যার্থতা রয়েছে বলেই স্বীকার করেছেন সিপি" এই কথাও জানান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এ ছাড়াও ৯ তারিখ কর্ডন অফ ও তথ্য প্রমাণ লোপাট নিয়েও আলোচনা হয় লাল বাজারে।
কী ভাবে নীল চাদর সবুজ হয়ে গেল সেই কথাও সিপির সামনে তুলে ধরেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু তাতে বিনীত বাবু কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। ঘটনাস্থলে যে লাল জামা পরা ব্যক্তি ছিল তিনি আসলে কে তাঁরও কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি বিনীত গোয়েল। চিকিৎসকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, “ আমি জানি না, চিনি না এদের, কে ডাক্তার, কে ডাক্তার নয়, জানি না। ”