সংক্ষিপ্ত
ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে আয়োজিত এক দলীয় প্রতিবাদ সভা থেকে হুঙ্কার দেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নেতা।
প্রকাশ্য প্রতিবাদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন আইএসএফ নেতা, তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। বেআইনি কাজ করলে পুলিশ আধিকারিকদের ট্রাফিক পুলিশে ট্রান্সফার করে দেওয়ার হুমকি দিলেন তিনি। ২৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে আয়োজিত এক দলীয় প্রতিবাদ সভা থেকে হুঙ্কার দেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নেতা।
কারুর নাম না নিয়েই তোপ দাগতে শোনা যায় নওশাদকে। তিনি বলেন, “ট্রান্সফার নিয়ে যেখানেই চলে যান না কেন, একদিন আবার ভাঙড়ের ফিরিয়ে আনব আপনাকে। তখন আর ওসির চেয়ারে নয়, ট্রাফিকে কাজ করতে হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সারাদিন গাড়িতে হাত দেখাবেন।”
আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, আগামী ৩ ডিসেম্বর আইএসএফ নেতা নওশাদের ভাই আব্বাস সিদ্দিকী ভাঙড়ের চাঁদপুর গ্রামে একটি জলসায় যোগ দেবেন, সেই উদ্যোগে দলীয় কর্মীরা একটি প্রবেশ তোরণ বা গেট তৈরি করছিলেন ঘটকপুকুর বাজারে। কিন্তু, সেই কাজে বাধা দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই যুযুধান পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড মারামারি হয়। এই ঘটনায় আইএসএফের এক কর্মীকে গ্রেফতার করে ভাঙড় থানার পুলিশ। এরই প্রতিবাদে সভায় বক্তব্য রাখেন নওশাদ সিদ্দিকি।
নওসাদ বলেন, ‘তুমি আজ এখানে সেজবাবু, মেজবাবু, বড়বাবু রয়েছ। ভাবছ, কাল অন্য থানায় চলে যাব। ভাই, আমার নাম নওসাদ সিদ্দিকী। এটা মনে রাখবে। আইন বহির্ভূত কাজ করলে এখনে এনে ট্রাফিকে পোস্টিং করে দেব। তা সে যেখানেই তুমি ট্রান্সফার হও না কেন। ভাঙড়ে এসে শুধু হাত দেখাবে। এখন এত ফুটানি দেখাচ্ছে তো। ওখানে পৌঁছে দেব। এটা মাথায় রাখবে’।
শুধু পুলিশের অফিসার ইন চার্জ নয়, সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও হুমকি দেন আইএসএফ নেতা। তিনি বলেন, “তৃণমূল কর্মীদের দেহে কোনও আঘাত না থাকলেও আপনি ইনজুরি রিপোর্ট দিয়ে দিচ্ছেন। ভুলভাল রিপোর্ট দিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসিয়ে কোথায় যাবেন আপনি? ৬০ বছর অবধি চাকরি করবেন তো? তার আগে ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন-
স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল প্রকল্পে স্বচ্ছতার উদ্যোগ, অভিভাবকদের উপস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ চালাবে রাজ্য সরকার
সুপ্রিম কোর্টের নজরে এবার সমলিঙ্গের বিয়ে, আইনি মর্যাদা নিয়ে যুগান্তকারী রায়ের আশায় গোটা ভারত
প্রত্যেক ১১ মিনিটে নিজের পরিবারের দ্বারাই খুন হচ্ছেন ১ জন করে মহিলা, আন্তর্জাতিক হিংসা দূরীকরণ দিবসে চাঞ্চল্যকর বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের