সংক্ষিপ্ত
বাড়়ি থেকে বেরিয়েই সায়নী নিজের পাড়ার শিবমন্দিরে পুজো দেন। আজ থেকে মাস দেড়েক আগেই সায়নী প্রচার শুরুর সময়ই পুজো দিয়েছিলেন শিব মন্দিরে
যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার আগে রীতিমত নিশানা করেন বিরোধীদের। গতকাল রাত থেকেই উত্তপ্ত ভাঙর। সেখানে আইএসএফ-এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধছে। আক্রান্ত হয়েছে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এই অশান্তির জন্য সায়নী সরাসরি নিশানা করেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, জেতায় আশা নেই। আর সেই কারণেই বিরোধীরা অশান্তি করেছেন।
এদিন বাড়়ি থেকে বেরিয়েই সায়নী নিজের পাড়ার শিবমন্দিরে পুজো দেন। আজ থেকে মাস দেড়েক আগেই সায়নী প্রচার শুরুর সময়ই পুজো দিয়েছিলেন শিব মন্দিরে। ভোটের দিন সকালেই সেই শিব ঠাকুরের ওপরই আস্থা রাখেন তিনি। শিবলিঙ্গের মাথায় দুধ আর গঙ্গাজল ঢেকে রুদ্রাভিষেক করেন। তাকপরই আকন্দ ফুলের মালা পরিয়ে শিব পুজো করেন। তিনি মোমবাতি আর ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করেন।
এদিন সায়নী দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেস জেতা প্রায়ই নিশ্চিত। তিনি বলেন মানুষের সমর্থনে তাঁরা জয় পাবেন। তিনি আরও বলেন, তাঁদের নেতারা সারা বছর ধরেই ভাল কাজ করেন। তাই জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। এদিন ভোটের কারণে আশান্ত ভাঙড়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একটা সময় কন্ডোম বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সায়নী ঘোষ শিবলিঙ্গে জন্মনিরোধক পরানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। যদিও তখন তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন না। তারপরই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রীর পদেও রয়েছেন।
ভোটের দিনে উত্তপ্ত ভাঙড়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এই অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। দুই পক্ষের ঝামেলায় আহত হয়েছে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। ন্যদিকে বঙ্গ বিজেপি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে ভাঙড়ের সাটুলিয়ায় বোমা ফেলা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে কোথা থেকে এল এই বোমা। শনিবার রাত থেকেই পাতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। পাতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়েক চণ্ডীহাট গ্রাম। তারপরই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রথমে কথা কাটাকাটি। তারপর হাতাহাতি। এই ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে।