অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট। ওইদিন ফাঁকা বাড়িতে মোবাইল দেখার নাম করে নাবালিকাকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। 

নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিল জলপাইগুড়়ি আদালত। পকসো আইনে সাজা ঘোষণা করেছে কোর্ট। একইসঙ্গে কারদণ্ডের পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের নির্দেশ। লিগ্যাল এইড সার্ভিস অথারিটির মাধ্যমে নির্যাতিতাকে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারকের ।

ঘটনাটি নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট। ওইদিন ফাঁকা বাড়িতে মোবাইল দেখার নাম করে নাবালিকাকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। সেখানেই তাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কয়েকজন প্রতিবেশী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। ঘটনার জানার পর নাবালিকার মা নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। তিনবছর ধরে কাস্টাডি ট্রায়াল চলে। ১১জন সাক্ষী দেয়। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন পকসো আদালতের বিচারক। আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি লিগ্যাল এইড সার্ভিস অথারিটির মাধ্যমে নির্যাতিতাকে পাঁচলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। যদিও অভিযুক্তের পক্ষ থাকা কিছু জানান হয়নি। সূত্রের খবর অভিযুক্তের পরিবার উচ্চ আদালতের যাওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করেছে। তবে ঘটনার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই পকসো আইনে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। যাকে স্বাগত জানিয়েছে নারী অধিকার ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।