সংক্ষিপ্ত

যোশীমঠের মত করুণ পরিণতি হতে রাজ্যের একমাত্র শৈলশহর দার্জিলিং-এর। প্রবল জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্মাণ কাজ। যাতে ফাটল দেখা দিতে পারে দার্জিলিংএর।

 

যোশীমঠের অবস্থা ক্রমশই শোচনীয় হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হচ্ছে যে উপগ্রহ চিত্র দেখে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই। ৬০০ পরিববারকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যোশীমঠের ফাটল কিন্তু দার্জিলিংএর জন্যই আশঙ্কার কারণ হতে দাঁড়াতে পারে। কারণ যোশীমঠের মতই দার্জিলিং-ও একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর হয়ে উঠেছে। এই অঞ্চলের নৃতাত্ত্বিক চাপ নিয়ন্ত্রণের দুর্বল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে দার্জিলিং পাহাড়ের। তেমনই দাবি করছেন একদল বিশেষজ্ঞ।

যোশীমঠরের ফাটল বা ধীরে ধীরে মাটির অতলে তলিয়ে যাওয়ার কারণে হিসেবে সামনে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিস্ফোরণ, জলাশন তৈরি, ভূগর্ভ থেকে অত্যাধিক জল তুলে নেওয়া। পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের সন্ধানকারী বিজ্ঞানী ও নাগরিকরা আরও বলেছেন, যোশীমঠ একটি ভঙ্গুর ভূতাত্ত্বিক ভূখণ্ডে অবস্থত। পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই সেথানে নির্মাণ কাজ হয়েছে বা হচ্ছিল। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, পর্যটনের চাপও সহ্য করতে হয়েছিল এই পাহাড়ি শহরকে।

পার্বত্য শহরের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দার্জিলিং শহরও আগামী দিনে এই জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তথ্য থেকে জানা যায় যে দার্জিলিং পৌরসভা এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ১৫৫৫৪ জন। আর সংখ্যাই দার্জিলিং সবথেকে ঘনবসতিপূর্ণ পাহাড়ী শহরের তকমা দিয়েছে। দার্জিলিং-এর ইঞ্জিনিয়ার নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই তথ্য দিয়েছে। তিনি বলেছেন, এখনও দার্জিলিংকে রক্ষা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রটেষ্টা করা হয়নি। ভূমিকম্প ও ভূমিধসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে বর্তমান প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা মোটেও চিন্তিত নয়।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে দার্জিলিং শহরের এরটি চারতলা ভবন ধসে গিয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের অনুমান, বিল্ডিংটি ধসে যাওয়ার মূল কারণই গোড়া থেকে মাটি সরে যায়। যা যোশীমঠের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া গেছে। দার্জিলিংএর ওই বিল্ডিলিংটি ছিল একটি পাহাড়ি ঝর্নার কাছে। কিন্তু সেই ঘটনার পরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সর্বত্রই নির্মাণকাজ অহ্যাহত রয়েছে।

২০১৫ সালে দার্জিলিং সিভিক ব়ি দার্জিলিংএর ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৮টিতে ৩৩৭টি অবৈধ বাড়ি সনাক্ত করেছিল। বাড়িগুলির উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডস, এই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। সম্প্রতি সোমবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে এডওয়ার্ড বলেছেন, 'আমরা দার্জিলিংএর বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার চেষ্টা করছি। যোশীমঠের ঘটনা যাতে এখানে না ঘটে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কিছু স্বার্থপর মানুষ অত্যাধিক মুনাফা লাভের চেষ্টায় বেআইনি নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। '

দার্জিলিংএর প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এই এলাকা ভূমিধস প্রবণ বলেও দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৬৮ সালে ভূমিধসের সংখ্যা ছিল ২০.০০০টি।। সেই সময় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, দার্জিলিং-সিকিমের রাস্তায় ৯০টিরও বেশি জায়গায় ধস নেমেছিল।৫২ ঘণ্টায় ১০০০ মিলিমিটিরা বৃষ্টি হয়েছি। তবুও খাড়া

অনেক বিশেষজ্ঞের মথায় দার্জিলিং , সিকিম অবস্থিত। সিসমিক জোন শ্র(vi)অধীনে পড়ে , এটি ভূমিকল্প প্রবণ এলাকা। অন্য এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, দার্জিলিং ও সিকিম পাহাড়ে ক্রমাগত খনন কার্ড চলছে। হাইড্রো-ড্যাম ও ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরি হচ্ছে। এটির মাধ্যমে সিকিমগোটা দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। তবে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে সিকিমের সেভোকেইন থেকে বাংলাপর্যন্ত একটি রেলপথ তৈরির পরিলকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়েছে।

৪৪.৯৮ কিলোমিটার সংঘোগের প্রায় ৪৬ শতাংশ ৪ মটার ব্যায়-সহ ১৪টা টানেলের মধ্যে দিয়ে চালান ,হবে। আমেরিকা. সুইজারল্যান্ড তিন জ একযোগে কাজ শুরু হয়েছে। এই সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা এর আগে এই সংবাদপত্রটিকে বলেছিলেন যে 'এই অঞ্চলের ভূকম্পন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি বিবেচনা করে রুটটি তৈরি করা হচ্ছে যেটির মধ্য দিয়ে দুটি ফল্টলাইন রয়েছে। "তিন বছরের অধ্যয়ন এবং আমাদের সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ডেটা চালানোর পরে, আমরা তিনবার অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করেছি," একটি সংস্থার একজন প্রতিনিধি বলেছিলেন। “টানেলিং হল একটি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট কাজ যা সমস্ত পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে নেওয়া হয়।”

আরও পড়ুনঃ

যোশীমঠের বিপর্যয় অব্যাহত, দিল্লিতে প্রবল ঠান্ডা- সঙ্গে চোখ রাখুন দেশের ১০টি খবর

Joshimath Sinking: ভূগর্ভে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Joshimath Sinking: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বদ্রীনাথের প্রবেশদ্বার যোশীমঠ, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবিগুলি