- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- 'আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও'! মুখ্যসচেতকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাকলিকে বললেন কল্যাণ
'আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও'! মুখ্যসচেতকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাকলিকে বললেন কল্যাণ
কল্যাণের ছেড়ে যাওয়া পদের দায়িত্ব দেওয়া হল কাকলি ঘোষদস্তিদারকে। উপদলনেতার দায়িত্বে শতাব্দী রায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কল্যাণের ইস্তফা গৃহীত হয়েছে।

কল্যাণের ইস্তফা গৃহীত
২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তারই মধ্যে গৃহীত হল কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের ইস্তফা। লোকসভার মুখ্যসচেতক পদ থেকে দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরেই তা গৃহীত হল। শুধু তাই নয়, নতুন মুখ্যসচেতকের দায়িত্বও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে মূলত কল্যাণকে বার্তা দেওয়া।
দায়িত্বে কাকলি
কল্যাণের ছেড়ে যাওয়া পদের দায়িত্ব দেওয়া হল কাকলি ঘোষদস্তিদারকে। উপদলনেতার দায়িত্বে শতাব্দী রায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কল্যাণের ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। তাঁর অবদানের জন্য শ্রীরামপুরের সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রশ্ন থেকে যায় কেন তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব কল্যাণের ইস্তফা দ্রুত গ্রহণ করল?
কল্যাণের ইস্তফার কারণ
তৃণমূল সূত্রের খবর, মূলত মহুয়া মৈত্র সঙ্গে বিবাদের জেরেই কল্যাণ দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কল্যাণ ঘনিষ্টের কথায় লোকসভায় যাবতীয় কাজ সামলান কল্যাণ কিন্তু পুরো কৃতিত্ব নিয়ে যান কৃষ্ণনগরের সাংসদ। কল্যাণ জানিয়েছেন, 'আমি চিফ হুইপ ছিলাম। যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। কেউ লোকসভায় আসবেন না, দায় আমাকে নিতে হবে? কাকলিকে বলেছি, আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও।'
অভিষেকের আশ্বাসও ব্যর্থ
তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষিয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিমান থামাতে আসরে নেমেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ তিনি কথা বলতে চেয়েছিলেন কল্যাণের সঙ্গে। কিন্তু তার আগেই কল্যাণের ইস্তফা গৃহতী হয়ে যায়। অন্যদিকে দলের নির্দেশ পেয়েই নতুন করে কাজ শুরু করে দিয়েছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার।
মুখ খুলেছেন মহুয়া
তবে কল্যাণকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা বা নেত্রী মুখ খোলেনি। শুধুমাত্র মুখ খুলেছিলেন মহুয়া মৈত্র। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। কল্যাণের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই মুখ খুলেছিলেন তিনিয কল্যাণের ব্যবহার ও শব্দ চয়ন নিয়ে মহুয়া একাধিক অভিযোগ করেছেন।

