সংক্ষিপ্ত
ঘড়িতে তখন ঠিক ৯.৪৫ মিনিট। শিয়ালদহের দিকে ছুটে চলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। আর ঠিক তখনই আচমকা এক বিকট শব্দ। সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন যাত্রীরাই।
ঘড়িতে তখন ঠিক ৯.৪৫ মিনিট। শিয়ালদহের দিকে ছুটে চলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। আর ঠিক তখনই আচমকা এক বিকট শব্দ। সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন যাত্রীরাই।
সোমবার সকালে, রাঙাপানি স্টেশন পেরোনোর ঠিক পরেই ফাঁসিদেওয়ায় দুর্ঘটনার ((Kanchanjunga Express Accident) কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯ জন এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৪১ জন আহত। একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসার ফলেই এই দুর্ঘটনা। একটি মালগাড়ি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। কার্যত, মালগাড়ির ইঞ্জিনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘার বগি উঠে যায় ওপরে। তার নিচ দিয়ে সজোরে ঢুকে যায় মালগাড়ির ইঞ্জিন।
জানলা দিয়ে অন্য কামরার যাত্রীরা দেখলেন, খেলনার মতো উলটে পালটে পড়ে আছে পিছনের কামরা। আর একই লাইনে মালগাড়ি। কাঞ্চনজঙ্ঘার একটি কামরা রীতিমতো ঝুলছে শূন্যে। দুর্ঘটনার সেই মুহূর্ত, সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন যাত্রীরাই।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটা হটাৎ বিকট আওয়াজ পেলেন যাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে এক ধাক্কায় থমকে গেল ট্রেন। কেউ কেউ ছিটকে পড়লেন সিট থেকে।
এই বিকট শব্দ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান এলাকার বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবেই তারাই শুরু করেন উদ্ধার কাজ। ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলি থেকে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন তারাই। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে থাকা এক যাত্রীর কথায়, “আমি এখনও ভাবতে পারছি না। বি-১ কামরায় ছিলাম। আমার মাথায় চোট লেগেছে। কেউ কেউ সিট থেকে পড়ে গেছেন। চোখের সামনে যে কী ভয়ংকর দৃশ্য দেখেছি, বোঝাতে পারব না।”
অন্যদিকে, এ-১ কোচে থাকা এক যাত্রী জানান, তাদের কোচের কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু যথেষ্ট আতঙ্কে ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে হেঁটে ফিরে মেন রাস্তায় পৌঁছন তারা। এর পর বাসে রওনা হন গন্তব্যের দিকে।
আরও পড়ুনঃ
আগের রাতে স্ত্রীর সঙ্গে গেয়েছিলেন গান, পরদিন বাড়িতে ফিরল কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড আশিস দের নিথর দেহ
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।