Special Durga Puja 2025: মঙ্গলবার মহাষ্টমী। দিকে দিকে বাজছে উৎসবের ঢাক। বিশেষ এই দিনে জানুন মফস্বলের সেরা কিছু পুজোর অজানা কথা। 

Special Durga Puja 2025: শুরু উৎসবের মরশুম। আজ মহাষ্টমী। শহর কলকাতা থেকে মফস্বল সর্বত্র চলছে দেবীর আরাধনা। তবে প্রাচীন প্রথা মেনে মহাসপ্তমীর ঊষা লগ্নে মালদহের চাঁচল রাজবাড়ি থেকে দুই কিমি দূরে পাহাড়পুর মণ্ডপে গেলেন চতূর্ভুজা মা চণ্ডী দেবী। অষ্টধাতুর মাকে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় রীতিমতো শোভাযাত্রা সহকারে। রাজ ঐতিহ্য মেনে চাঁদির পাখা ও স্বর্ণ ঝাড়ু সহকারে চাঁচল রাজবাড়ী থেকে পাহাড়পুর চন্ডীমন্ডপে নিয়ে যাওয়া হয় অষ্টধাতুর চতুর্ভূজায় চন্ডীকে। এই রীতিকে কেন্দ্র করে এদিন শোভাযাত্রায় সামিল হতে দেখা গিয়েছে আট থেকে আশিকে। এই চারদিন পাহাড়পুর মন্দিরেই পূজিত হবেন মা দেবী চন্ডী। প্রথা মেনে মহাদশমীতে ফের রাজবাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে দেবীকে। তারপর দশমীর গোধূলি লগ্নে মহানন্দা ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হবে দেবী প্রতিমাকে।

ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো:-

৩৫০ বছর আগে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন চাঁচলের তৎকালীন রাজা রামচন্দ্র রায় চৌধুরী।শেষ রাজা শরৎচন্দ্র রায় চৌধুরী পাহাড়পুরে পাকা দালান করেন। রাজ আমলের এই পুজোকে ঘিরে উত্তর মালদহের ভক্তদের আবেগ রয়েছে। রাজার পুজো বলে অষ্টমী তিথিতে হাজার হাজার ভক্তদের ঢল নামে অঞ্জলি দিতে।

অন্যদিকে, সপ্তমীর রাতে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে অর্ধ্ব রাত্রির পুজো সকলের জন্য নয়, দেখতে পারবেন কেবল...! জানেন না অনেকেই। জানুন এই দুর্গাপুজোর ইতিহাস। 

সপ্তমী থেকে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে। এই বছর ৫১৬ বছরে পা দিল জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। দেবী এখানে তৃপ্ত কাঞ্চনবর্ণা। সোনা গলানো গায়ের রঙ। সাজানো হয়েছে নানান অলঙ্কারে। দেবী এখানে পুজিত হন কালীকা পুরান মতে। ষষ্ঠীতেই বোধন সম্পন্ন হয়েছে দেবীর। সপ্তমীর সকাল থেকে পুজোয় বসেছেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। 

জলপাইগুড়ির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকেও বহু মানুষ জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর বাড়ির পুজো দেখতে আসেন। রাতে রয়েছে অর্ধ্ব রাত্রির পুজো। তবে সেখানে কোনও দর্শনার্থী নয় কেবলমাত্র রাজ পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত থাকবেন।রাজ পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘আমাদের পুজো মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায়। মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদদের ঘট বসানো হয়। 

আর সেদিন থেকেই নিয়ম করে মায়ের পুজো করা হয়। ষষ্ঠীর সকালে মায়ের বোধন এবং সন্ধ্যায় অধিবাস হয়। সপ্তমীতে রাজ পরিবারের সদস্যরা মিলে মায়ের বরণ করি। তারপরে মায়ের নবপত্রিকা স্থাপন করা হয়। এরপর মায়ের চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব শুরু হয়। ভোগও থাকে মায়ের জন্য’।

সপ্তমীর সকালে সাগরের জলে মহাস্নান সারেন জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির সোনার দুর্গা। একই সঙ্গে সকাল থেকে শুরু হয় চণ্ডীপাঠ। ভোর থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে। নাট মন্দিরে নিজে উপস্থিত থেকে পুজোর সমস্ত খুঁটিনাটি নজর রাখছেন রাজবাড়ির প্রবীণ সদস্যরা। সব মিলিয়ে বনেদি বাড়ি থেকে বারোয়াড়ি জমজমাট দুর্গাপুজো। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।