সংক্ষিপ্ত
কুড়মি সমাজের ‘বাড়াবাড়ি’-তে কাপড় খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। তারই রোষে এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহির দাবি।
বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে প্রায়শই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার কুড়মি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেও তাঁর করা মন্তব্য যথেষ্ট চাঞ্চল্য ফেলে দিল বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। এই চাঞ্চল্যের জেরে বিজেপির পার্টি অফিস ঘেরাও করে চূড়ান্ত বিক্ষোভ দেখালেন কুড়মি সমাজের নেতা-কর্মীরা।
রবিবার ঝাড়গ্রামের বামল এলাকায় কুড়মি সমাজের বিক্ষোভকারীদের সামনে পড়ে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখন তিনি আন্দোলনরত মানুষদের উদ্দেশ্যে জানান যে, তিনি কুড়মি সমাজের বহু মানুষকে অনেকবার নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন। আন্দোলনের সময় তাঁদের চাল-ডাল দিয়েছেন। বিজেপি সাংসদের এই দাবিতেই তীব্র বিরোধিতা করেন কুড়মি সমাজের মানুষরা। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংসদ যদি প্রকাশ্যে না জানান যে, তিনি কাকে সহযোগিতা করেছেন, তাহলে তাঁকে ঘেরাও করা হবে। পাশাপাশি জঙ্গলমহলেও তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।”
উল্লেখ্য, সোমবার কুড়মিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “ওরা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে সব কাপড় খুলে দেব। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে।” শালবনির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর নাম নিয়ে দিলীপ বলেন, “হিম্মত থাকলে শ্রীকান্ত মাহাতোকে ওরা পদত্যাগ করিয়ে দেখাক। যত মাহাতো এমপি আছে, এমএলএ আছে তাঁদেরও পদত্যাগ করিয়ে দেখাক।”
তাঁর কাপড় খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন কুড়মি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ঝাড়গ্রামে বিজেপি কার্যালয় ঘেরাও করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি করা হয়েছে। অন্যথা, তাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করলে বিজেপির বিরুদ্ধে কুড়মিদের আন্দোলন আরও জোরালো করা হবে কিনা, তা নিয়েও সংগঠনের অন্দরে জলঘোলা চলছে।
আরও পড়ুন-
সাইক্লোন ‘মোকা’-র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি, তাপপ্রবাহের সঙ্গেই বৃষ্টি চলার পূর্বাভাস
মে মাসে কোন শহরে ঊর্ধ্বমুখী হল জ্বালানির দাম? দেখে নিন মঙ্গলবারের পেট্রোল-দর
Gold Silver Price: মঙ্গলবার কত হল সোনা-রুপোর দর? জেনে নিন আজকের লেটেস্ট আপডেট