সংক্ষিপ্ত

 

মকর সংক্রান্তির পূন্যস্নান করলে লক্ষ লক্ষ মানুষ। এদিন সকালে কুয়াশার কারণে সাময়িক বন্ধ ছিল নৌ চলাচল। অসুস্থদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মকর সংক্রান্তির পূন্য তিথিতে গঙ্গাসাগরে পূন্য স্নান করেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন চলতি বছর মেলায় এখনও পর্যন্ত ৫১ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্নান করেছেন। এখনও ১০ লক্ষ মানুষ স্নান করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। চলতি বছর সাগরমেলার দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পবিত্র স্নানের সময় শনিবার সন্ধ্যে ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে শুরু হয়েছিল। সময় শেষ হয়েছে রবিবার সূর্যাস্তের পরে। কিন্তু সাগরমেলায় এখনও বহু তীর্থযাত্রীর ভিড় রয়েছে.

অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, রবিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত প্রায় ৫১ লক্ষ মানুষ পূন্যডুব দিয়েছেন হুগলি নদী আর বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমস্থলে। সাগরমেলা শুরু হয়েছিল ৫ জানুয়ারি থেকে। এখনও প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ স্নান করে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন বলেও তিনি জানিয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, গত কয়েক দিনে মেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে এদিন মৃত্যু হয়েছে উত্তর প্রদেশের দুই তীর্থ যাত্রীর। বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া ১২৫ জন তীর্যযাত্রীর চিকিৎসা চলছে সাগরের বিভিন্ন হাসপাতালে। ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার রাত ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপে নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তারপরই নৌ চলাচল শুরু হয়। তীর্থযাত্রীরা পূন্যস্নন করেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন এবার মেলার সঙ্গে ১ কোটিরও বেশি মানুষ যুক্ত ছিলেন। সারা দেশে ই-স্নান সরেছেন ৭.৭৮০ জন পূন্যার্থী। কারণ এঁরা পবিত্র গঙ্গা জলের অর্ডার দিয়েছিলেন অনলাইনে। রাজ্য সরকার তাদের বাড়িতে গঙ্গাজল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। মেলা দেখারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল ভার্চুয়ালি।

কড়া নিরাপত্তায় সাগরমেলা সম্পন্ন হওয়ার পথে। পুলিশ এপর্যন্ত অবৈধ কাজের জন্য ৩৫জনকে গ্রেফতার করেছে। এই প্রথম তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের সুবিধের জন্য সাতটি ভাষায় ঘোষণা করছে- বাংলা, ভোজপুরি, হিন্দি, মারাঠি, ওড়িয়া, তামিল ও তেলেগুতে। কড়া নজরদারি রয়েছে মেলা উপলক্ষ্যে। তীর্যযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা রয়েছে মেলা প্রাঙ্গনে, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। উপকূল বরাবর নজরদারি চালান হচ্ছে। মেলার মাঠে রয়েছে পুলিশ কর্মীরা। এদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। পরো মেলার মাঠে পর্যবেক্ষণের জন্য ১০০০ এরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা ও ২৫টি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

নেপালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার পাঁচটি সম্ভাব্য কারণ, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ সরকারের

১০০ কোটি টাকার প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস বাজেয়াপ্ত দেগঙ্গায়, সবগুলি মৌর্য ও কুষাণ যুগের

প্যারাগ্লাইডিংএর অ্যাডভেঞ্চারই হল কাল! নেপালের বিমান দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল ৫ ভারতীয়র