- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নয়া সুবিধা! সেপ্টেম্বর থেকে বাড়তে পারে টাকাও? খুশির খবর শোনালেন মমতা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নয়া সুবিধা! সেপ্টেম্বর থেকে বাড়তে পারে টাকাও? খুশির খবর শোনালেন মমতা
তৃণমূল সরকারের তুরুপের তাস বলা যেতে পারে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে। এবার নয়া খবর মিলল প্রকল্প নিয়ে। এই প্রকল্প নিয়ে নয়া ঘোষণা রাজ্যের। এই নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে চলেছে নবান্ন। জেনে নিন এই বিষয়ে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সামনে ২০২৬ বিধানসভা ভোট, এই ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার একাধিক নতুন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। নতুন প্রকল্পের পাশাপাশি পুরনো প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পুরনো প্রকল্প গুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্পটি হলো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা প্রদান করা হয়। তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা প্রদান করা হয়। এই লক্ষী ভান্ডারে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি রাজ্য সরকার বেশ নতুন কিছু সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে চলেছে।
বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী এবং সর্বাধিক আলোচিত “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”— এই প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলেছে। এখন সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছেন আরও বহু মহিলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ডিসেম্বর মাস থেকেই নতুন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ভাতা।
সম্প্রতি বীরভূম জেলার একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান, “আমাদের এখানে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার মা-বোনেরা উপকৃত হন। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে কোনও রকম রেস্ট্রিকশন নেই।” তিনি জানান, অন্যান্য রাজ্যে স্কুটি বা পাকা বাড়ি থাকলে ভাতা পাওয়া যায় না, কিন্তু বাংলায় এমন শর্ত নেই। তাই আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই পরিমাণ বাড়ানোর জল্পনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, সাধারণ জাতির ভাতা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি মহিলাদের জন্য ১৮০০ টাকা করা হতে পারে। যদিও, এই বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে সারাজীবন এই ভাতা মিলবে। মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে থাকুন, আমরা যা বলি, তা করি।” এছাড়া, শেষ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে যে সকল আবেদন জমা পড়েছে, তার ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই ডিসেম্বর থেকে নতুন গ্রাহকরা ভাতা পেতে শুরু করবেন।

