সংক্ষিপ্ত
ঘটনার পর থেকেই বগটুই জুড়ে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা । আজ রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে লালন শেখের মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
সিবিআই হেফাজতে বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর বেশ উত্তপ্ত রামপুরহাটের পরিস্থিতি। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে বগটুই গ্রামের মানুষ। রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে অবরোধ চলছে। গ্রামবাসীদের দাবি অভিযুক্ত সিবিআই অফিসারদের গ্রেফতার করতে হবে। এদিকে, রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী তিন আধিকারিক বিলাস মাহাতগড, ভাস্কর মন্ডল ও রাহুল এর নামে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি । সোমবার রাতেই এই তিন আধিকারিকের নাম উল্লেখ করে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা ঘুস চাওয়ায় অভিযোগ সিবিআই এর বিরুদ্ধে ।
এদিকে, মৃত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি অসুস্থ অবস্থায় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সিবিআই হেফাজতে থাকা বগটুই গনহত্যা কাণ্ডে অন্যতম মুল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থমথমে বগটুই গ্রাম। তবে ঘটনার পর থেকেই বগটুই জুড়ে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা । আজ রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে লালন শেখের মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ মার্চ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়তের ধারে বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। এই ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল লালন শেখ। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। তাদের মধ্যে ৯ জন মহিলা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ। ঘটনার পরদিন রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। তারও দুই দুদিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত হতে নেয় সিবিআই। সেই সময় থেকেই ফেরার হয়ে যায় লালন শেখ। অবশেষে ৫ ডিসেম্বর লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
ভাদু শেখ খুন থেকে শুরু করে বগটুই গণহত্যা - একাধিক তথ্য প্রমান ছিল লালন শেখের কাছে। বলা যেতে পারে ২১ মার্চের রাতের ঘটনার চলমান সাক্ষী ছিল সে। বিজেপি -সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ভয়ঙ্কর সেই ঘটনা। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তদন্তে উঠে আসা তথ্য বলছে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। কিন্তু লালন শেখের মৃত্যু অনেক সত্য অধরা যেতে যেতে পারে। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।