Special Kalipuja 2025: কালীপুজোয় সম্প্রীতির ছোঁয়া মুসলিম মহিলাদের হাতেই পূজিতা হন শ্যামা মা। জানুন আরও বিশদে… 

Special Kalipuja 2025: স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু পুজো। শ্যামার আরাধনায় মুসলিম মহিলা। চার দশক ধরে পূজিতা হন দেবী শেফালী কালী। মালদহে এই পুজোকে ঘিরে সম্প্রীতির অনন্য নজির, চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। স্বপ্নাদেশে প্রায় চার দশক ধরে শ্যামা মায়ের আরাধনা করছেন এক মুসলিম মহিলা। 

শেফালী বেওয়ার কালীপুজোর ইতিহাস:- 

মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের মধ্যমকেন্দুয়ার বাসিন্দা শেফালী বেওয়ার এই কালী পুজোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সম্প্রীতির নজির। এলাকার এই সম্প্রীতির পুজোয় মেতে ওঠেন সমগ্র এলাকাবাসী। পাশাপাশি এই পুজো দেখতে ভিড় জমান দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা। মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের মধ্যমকেন্দুয়ার রেল লাইন ঘেঁষা এলাকায় এই কালীর স্থান। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা এলাকার এক মুসলিম মহিলার শেফালী বেওয়া।

জানা যায়, শেফালী দেবী প্রায় ৪০ বছর আগে নানান অসুখে অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন। সেই অসুখ সারাতে পারেননি কোনও ডাক্তার বা কবিরাজ। একদিন হঠাৎ তাকে স্বপ্নাদেশ দেন স্বয়ং মা কালী। স্বপ্নাদেশে বলা হয় মা কালীর পুজো করলেই সারবে তার অসুখ। এরপর এই কথা তিনি গ্রামবাসীদের জানালে প্রথমে তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউই। মুসলিম মহিলা হয়ে কালী পুজো করবে এই কথা ছড়িয়ে পরে গোটা এলাকায়। এরপর হঠাৎ শেফালী দেবীর শরীরে ভর করেন স্বয়ং মা কালী। গ্রামবাসীদের সব কথা বললে তা শুনেই শুরু হয়ে যায় কালীপুজো। এভাবেই প্রায় চার দশক ধরে এক মুসলিম মহিলার হাতেই পূজিতা হয়ে আসছেন মধ্যমকেন্দুয়ার শেফালী কালী।

শেফালী দেবীর নাম থেকেই এই পুজোর নাম হয়েছে শেফালী কালী পুজো। ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য নজির। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই গ্রামে কারও অসুখ বা কোনও অসুবিধে হলে তারা ছুটে আসেন শেফালী দেবীর কাছে। শেফালী দেবীর শরীরে মাকালী ভর করে এবং তাদের অসুখের কথা বললে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এলাকার মানুষের উদ্যোগে আগের তুলনায় আরও ভালো ভাবে আয়োজন করা হয় মায়ের পুজো। সামনেই কালীপুজো ইতিমধ্যেই জোর কদমে চলছে মা কালীর মূর্তি তৈরির কাজ। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি ও চূড়ান্ত ব্যস্ততা। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।