সংক্ষিপ্ত
বেলা গড়াতে না গড়াতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। তিন কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তি বোমাবাজির খবর মিলেছে।
আজ ভোটগ্রহণ চলছে আলিপুরদুয়ার (তফসিলি জনজাতি অধ্যুষিত), জলপাইগুড়ি (তফসিলি জাতি অধ্যুষিত) এবং কোচবিহার (তফসিলি জাতি অধ্যুষিত) কেন্দ্রে। কোচবিহারে ভোটের জন্য সবথেকে বেশি ১১২ কোম্পানি ফোর্স আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি ৪,৫২০ জন রাজ্য পুলিশও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহারে ৪৭টি, আলিপুরদুয়ারে ২৩টি, জলপাইগুড়িতে ১৩টি, শিলিগুড়িতে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম রাখা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের মোট ১২,৩১০ জন কর্মীও নিযুক্ত রয়েছে।
তবে তারপরেও বেলা গড়াতে না গড়াতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। তিন কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তি বোমাবাজির খবর মিলেছে।
কোচবিহার
কোচবিহারের দিনহাটায় যেমন উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। আবার কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি আক্রান্ত হন বলে খবর। গত কয়েকদিন ধরেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের দিকে-দিকে অশান্তির আগুন জ্বলছে। নিশীথ প্রামাণিক-উদয়ন গুহের অনুগামীরা মারামারি-সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। একের পর এক এই গন্ডগোলে একে অপরকে দায়ী করেছে বিজেপি-তৃণমূল। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় ২৮৬ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন বলে খবর। এদিকে, কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল নেতাকে দেখতে যান দিনহাটার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বিজেপির বুথ অফিসে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তিনি ধূপগুড়ির বিধায়কও বটে। তাঁকে বুথ অফিসে স্বাগত জানান বিজেপি কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে নির্মল বলেন, “এটা সৌজন্যের বিষয়। রাজনৈতিক মতফারাক থাকলেও জলপাইগুড়ি বার বার সৌজন্যের রাজনীতি দেখেছে।” এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপাইপাড়া এলাকায় পুড়ল বিজেপির বুথ অফিস। অভিযোগ, কেউ বা কারা রাতে বিজেপির বুথ অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। দলীয় পতাকা থেকে ব্যানার সব পুড়ে ছাই। এলাকার বুথ সভাপতি তথা বিজেপি কর্মী গৌতম রায় বলেন, “রাত ৯টার পর ঘটনা ঘটেছে। আমরা রাত পর্যন্ত সব কাজকর্ম শেষ করে বাড়ি যাই৷ তার পরই এই খবর পাই। ভোরবেলা এসে দেখি এই অবস্থা। কিন্তু আগে কোনও দিন এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। কাউকে দেখিনি। তাই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারছি না। গোটা ঘটনা প্রশাসন-সহ এলাকার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েছি।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।