সংক্ষিপ্ত

নেতাজি ইন্ডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের নব নির্মিত ভবন ‘রূপান্ন’-এর দ্বার উদঘাটন। পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিন।

শিশু দিবস উপলক্ষে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন হাওড়া জেলার গুরু নানক পাবলিক স্কুলের নতুন প্রাইমারি বিল্ডিং। সোমবার অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা-ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন তিনি। পাশাপাশি দার্জিলিং থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জিটিএ-র সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে খেলাধুলো এবং পড়াশোনার উপহার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ভার্চুয়ালি পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের নব নির্মিত ভবন ‘রূপান্ন’-এর দ্বার উদঘাটন করেন তিনি। পড়ুয়াদের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম।


 

১৪ নভেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। একটি হল, টেলি মেন্টাল হেলথ পরিষেবা এবং অপরটি, পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিন। অর্থাৎ, নাগরিকদের শারীরিক সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দিল রাজ্য সরকার


 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ থেকে ২০২২ এর মধ্যে ৩০টি বিশ্ব বিদ্যালয় করেছি। আমরা আইএস-আইপিএস ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। ৫১টি নতুন কলেজ, ৭ হাজার নতুন স্কুল, ২ লক্ষের বেশি শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়েছে, সাঁওতালি মিডিয়াম তৈরি হয়েছে, ৮০ লক্ষের বেশি কন্যাশ্রী পেয়েছেন, ১ কোটির বেশি ছেলে সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় যখন ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারতেন না , পড়াশোনায় অসুবিধা হত, তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিই যাতে ওরা অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে। ১৭ লক্ষ ছেলেমেয়ে টাকা পেয়েছেন ইতিমধ্যে। আজকে বাড়ি গিয়েই দেখবেন ১০ লক্ষ ছেলেমেয়ের ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকে গিয়েছে।’


পড়াশোনাকে স্মার্ট করে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অভিনব উদ্যোগ। আজকের বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাগুলির দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে সাহায্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে স্কুল কলেজে অনেক কম নম্বর দেওয়া হত, তাঁর শাসনকাল থেকে বঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের সেই দুঃখ ঘুচেছে, এখন সিবিএসই, আইসিএসই-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-
উপলক্ষ্য বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন, আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক মাথায় রেখে মঙ্গলবার মমতা বনাম শুভেন্দুর প্রচার-টক্কর
ভূকম্পনের তীব্রতায় বারবার কেঁপে উঠছে উত্তর ভারত, মধ্যরাতে সারা পঞ্জাব জুড়ে আতঙ্ক
টাকা বা গয়না হাতানোর জন্য গলা কেটে খুন করা হয়নি রায়গঞ্জের গৃহবধূকে, চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ