বহরমপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর থেকে ওয়াকফ ইস্যুতে সরব হন মমতা। জানিয়ে দেন বাংলায় এনআরসি করতে তিনি দেবেন না। 

বহরমপুরের সভা থেকে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজ্যে চলা SIR থেকে শুরু করে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তকরণ সবকিছু নিয়েই সুর চড়ালেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে রাজ্যে বিজেপিকে রোখার কথাও জনগণকে বললেন। তিনি তাঁর ভাষণে অনেকটা সময়ই ব্যায় করেন রাজ্যে চলা ভোটার তালিকার নিবিড়় সংশোধন নিয়ে। তিনি বলেন এই রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প তিনি কিছুতেই করতে দেবেন না। পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন।

SIR ইস্যুতে সরব মমতা

বহরমপুরের জনসভা থেকে এসআইআর ইস্যুতে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোাধ্যায়। তিনি বলেন,বিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন এসআইআর হচ্ছে না বলে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন,'যে সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই সেখআনে কেন ভোটের আগে এসআইআর হবে?' তিনি আরও বলেন, অসম ত্রিপুরা বাংলাদেশের সীমান্ত ভাগ করে। তিন্তু সেখানে এসআইআর হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলে?' মমতা আরও বলেন, বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী। বাঙালি আর পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করছে। তাদের জেলে পুরছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তবে মমতা জানিয়েছেন, তিনি এখনও নিজের নাম ভোটার তালিকায় তোলেনি। তিনি বলেন, 'যতক্ষণ না আপনাদের সকলের নাম উঠছে ততক্ষণ আমি নিজের নাম তুলব না। প্রতিটা বুথে মে আই হেল্প ইউ ক্যাম্প করতে হবে। যাতে আপনাদের সুবিধে হয়। '

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন?

এদিন বহরমপুরের জনসভা থেকে মমতা বলেন, এসআইআর না করতে দিলে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনক জারি করত বিজেপি। তিনি বলেন, 'এসআইআর নিয়ে ভয় পাবেন না। শুধু নিজের নথিগুলি জমা দিন। যগি এসআইআর না করতে দিতাম তাহলে ভোট না করে ওরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করত। বুঝেছেন অমিত শাহের চালাকি? আমরা অত বোকা নিয়ই বাবুমশাই, গোদিভাই! আমরা করব, লড়ব। জিতে দেখাব। আমাদের ভাতে মারা যাবে না। সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না।' তিনি জনতার উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলেন, এই রাজ্যে তিনি এনআইরসি করতে দেবেন না।

প্রসঙ্গ ওয়াকফ

মমতার কথায়, 'কেউ কেউ সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করছে। বলছে ওয়াকফ নিয়ে আমরা নাকি কিছু করিনি। এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আইন পাশ করেছিলাম। বলেছিলাম জোর করে সম্পত্তি কাড়া যাবে না।'

মমতা আরও বলেন, 'গত কয়েক দিন ধরে কিছু দুষ্কৃতী গুজব রটাচ্ছে, রাজ্য সরকার কালেক্টরে খতিয়ান নম্বর ১ এ ধর্মীয় স্থানগুলো মসজিদ কবরস্থান হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মিথ্যে কথা। সব ধর্মেই কিছু গদ্দার থাকে, যারা বিজেপির টাকা খেয়ে মিথ্যা প্রচার করে। মনে রাখবেন এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেরিয়ে গিয়েছে। আমার মুখে অন্যের কথা বসানো হচ্ছে। ওদের অনেক টাকা, নোটবন্দির টাকা, চুরির টাকা.. সব টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে একটা করে মালা পরে আসছে! অথচ মানুষের জন্য টাকা নেই। করে লুট, আর বলে ঝুট!'