Birbhum News: বীরভূমের দুবরাজপুরে একসঙ্গে দেখা মিলল মোদী-মমতার! কীভাবে? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Birbhum News: বীরভূমে একই সঙ্গে দেখা মিলল ‘মোদি’,‘মমতা’র! দুবরাজপুরে খোঁজ মিললো নরেন্দ্র মোদীর। দোকানে গেলে মজা করে এলাকার মানুষ তাকে প্রধানমন্ত্রী বলে ডাকেন। আবার তার দিদির নাম মমতা। এলাকার শাসক এবং বিরোধী দুই দলের নেতারাই বলছেন,' রাজনৈতিকভাবে যেটা কোনও দিন সম্ভব নয় সেটা এখানে সম্ভব হল। আর তার চেয়েও মজার বিষয় আমরা নরেন্দ্র মোদীকে প্রতিবেশী হিসেবে পেয়েছি।'
বীরভূমে মোদী-মমতা!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছপা হন না। আবার পুজোর সময় পাঞ্জাবি পাঠাতেও কার্পণ্য করেন না। কিন্তু দুজনের মধ্যে নেই কোনও রক্তের সম্পর্ক। তবে কাকতালীয় ভাবে দুবরাজপুরে সন্ধান মিললো নরেন্দ্র মোদী এবং তার দিদি মমতার । এবং তাদের সম্পর্কও অনেকটা প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মত । কেও কারোর পেছনে লাগতে ছাড়েন না তবে পুজো পার্বণ বা উৎসবে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি দিতে ভোলেন না উপহার।
দুবরাজপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নরেন্দ্র মোদী পেশায় মুদিখানা ব্যবসায়ী তিনি। এবং তার তিন দিদি-বোনের মধ্যে এক দিদির নাম মমতা আগরওয়াল। আর এই দুইজনের নাম সামনে আসতেই কার্যত চক্ষু চড়ক বিজেপি এবং তৃণমূল নেতা উভয়েরই ।
বিজেপি নেতা সত্য প্রকাশ তিওয়ারী বলেন,' বিষয়টা বেশ মজার। যে আমরা আমাদের ভাইয়ের মত একটা নরেন্দ্র মোদীকে পেয়েছি। কাকতালীয়ভাবে তার এক বোনেরও সন্ধান পাওয়া গেছে যার নাম মমতা। সুতরাং এক ঘরেই আমরা মমতা এবং মোদিকে পেয়েছি । খুব ছোট থেকেই আমরা তাকে দেখছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মত এই নরেন্দ্র মোদিও খুব সৎ ছেলে। এবং সে চায়ের দোকানে গেলে এলাকার মানুষও তাকে মজা করে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে বলেন এই নরেন্দ্র মোদি এসেছে বসতে দাও।'
দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বরূপ আচার্য বলেন,' কাকতালীয় হলেও বিষয়টা বেশ মজার । যেটা রাজনৈতিকভাবে হয়তো কোনদিন সম্ভব নয় সেটা আমরা এখানে দেখলাম ।' যদিও নরেন্দ্র মোদি বলেন,' আমার এবং দিদির নাম সম্পূর্ণ কাকতালীয়ভাবেই মিলেছে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে । ছোটবেলায় আমার জেঠু এই নামকরণ করেছিলেন। তখন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন না । আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন না। তবে এখন বেশ ভালই লাগে এবং আমার সৌভাগ্য যে মানুষ মজা করে হলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাকে তুলনা করেন। যদিও আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই, শুধু একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। আমাদের দিদি ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো । তবে ছোট থেকেই আমাদের ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকে । তবে দিদির বাড়ি গেলে আমাকে রসগোল্লা খাওয়ায় । আমি কোন দোকানে কিছু কিনতে গেলে সবাই সরে গিয়ে দোকানিকে বলে এনাকে আগে দাও।'
নরেন্দ্র মোদীর দোকানের কর্মচারী দিব্যেন্দু রজক বলেন, ‘’বেশ ভালো লাগার বিষয় আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামও নরেন্দ্র মোদী, আবার আমাদের বাবুর নামও নরেন্দ্র মোদী । নরেন্দ্র মোদীও যেমন ভালো মানুষ বাবুও তেমনই ভালো মানুষ। মাঝে মাঝে আমরাও বলি প্রধানমন্ত্রী এসেছে । আবার তার চেয়েও বেশি মজার বিষয় আমাদের রাজ্যের দিদির নাম মমতা, আবার বাবুর দিদির নামও মমতা।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


