Pahalgam Terror Attack: গরমে ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দে যে এভাবে বিষাদের ছায়া নেমে আসবে তখনও বুঝতে পারেননি মণীশ রঞ্জন। স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হলেন বাংলার আরও এক বাসিন্দা। কাশ্মীরে ঘুরতে ঘিয়ে মৃত্য়ু বাংলার আরও এক সন্তানের।
Pahalgam Terror Attack: গরমে ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দে যে এভাবে বিষাদের ছায়া নেমে আসবে তখনও বুঝতে পারেননি মণীশ রঞ্জন। স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হলেন বাংলার আরও এক বাসিন্দা পেশায় আইবি কর্মী মণীশ রঞ্জন।
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলার ঝালদার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জন মিশ্র বউ ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীরের পহেলগাঁও ঘুরতে গিয়েছিলেন। পুরুলিয়া ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ঝালদার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও আদতে কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৮ জনের মধ্যে গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) মণীশ রঞ্জন মিশ্রও ছিলেন (Pahalgam Terror Attack)।
বেশকিছু দিন আগে তিনি তার পরিবার নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন। মণীশ রঞ্জন আগে রাঁচিতে কর্মরত ছিলেন। পরে হায়দরাবাদে আইবি অফিসে সেকশন অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেন। পরিবার নিয়ে কাশ্মীর গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেখানেই সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। তবে মণীশ মারা গেলেও বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা। ঘুরতে গিয়ে ঘরের ছেলের এভাবে জঙ্গিদের হাতে মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছে মণীশের গোটা পরিবার। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরুলিয়ার ঝালদায়।
অন্যদিকে, কাশ্মীরেরপহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর নৃশংসস হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে শোক প্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি। তিনি গোটা ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে কাশ্মীরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন.চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি লেখেন, ‘’পহেলগাঁওয়ে নিরপরাধ পর্যটকদের উপর এই ধরনের হামলার গভীরভাবে মর্মাহত। আমি এই অসংবেদনশীল সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।''
অন্ধ্রপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণও এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন,''পহেলগাঁওয়ের বাইসারন এলাকায় পর্যটকদের উপর জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় আমি গভীর ভাবে শোকাহত। মিনি সুইজারল্যান্ড নামে খ্যাত এই জায়গায় যেভাবে ২৮ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২০ জন আহত হয়েছেন তাতে আমি শোকস্তব্ধ। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


