সংক্ষিপ্ত

পুরুলিয়ার লধুড়কায় মিঠুন জনসংযোগের ঢঙে সভা করলেন। সভার শুরুতেই তিনি বলেন, “আজ আমি কোনও ডায়ালগ দিতে আসিনি, আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার আছে, করুন।

কোনও ডায়ালগ নয়, কোনও হাততালিতে ফেটে পড়া বক্তৃতা নয়। এদিন পুরো পাক্কা রাজনৈতিক নেতাদের মত ইস্যু ধরে ধরে বক্তব্য রাখলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পুরুলিয়ার লধুড়কায় মিঠুন জনসংযোগের ঢঙে সভা করলেন। সভার শুরুতেই তিনি বলেন, “আজ আমি কোনও ডায়ালগ দিতে আসিনি, আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার আছে, করুন। যার যা মনের দুঃখ-কষ্ট আছে, বলবেন।” তাঁর বক্তব্যের নিশানায় ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কি কি বললেন মহাগুরু?

১. মিঠুন বলেন "ঘরে ঘরে পোস্টারে বাংলার আবাস যোজনা করে দিয়েছে। যে টাকা পাঠাবে কাকে পাঠাবে? আমি বলছি, সেন্ট্রাল বলছে আগে হিসেব দিন। উনি বলছেন আমাদের পয়সা দিচ্ছে না, আমি কী করে দেব।"

২. তিনি বলেন, "আপনি ধরুন রামকে টাকা দিয়ে বাজারে পাঠালেন। রাম ফিরে এলে তার থেকে হিসেব চাইবেন না? যা পয়সা দিলেন তার তো হিসেব থাকে। যদি বলেন ওটা তো শ্যাম দেখে শ্যামকে দিয়ে দিন। আপনি কি শ্যামকে দেবেন? দেবেন না। রামের টাকা রামকেই দেবেন।"

৩. নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন মিঠুন। তাঁকে এক বিজেপি সমর্থক বলেন বাড়ি নেই তাঁর, কোনও সাহায্যও পাচ্ছেন না তিনি। উত্তরে মিঠুন বলেন দিল্লি থেকে টাকা আসছে, কিন্তু মাঝপথে রাজ্যে এসেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।

৪. মিঠুন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা সেই আবাস যোজনার ব্যাঙ্কেই আসবে। আপনি পোস্টার মারলে কী করে হবে? এখন সবাই স্বীকার করছে সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা যা কাজ হচ্ছে কেন্দ্র করছে। সব পাবে।

৫. মিঠুন বলেন প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা সবাই পাবেন। কিছু দিনের জন্য টাকা আটকে রাখা এই জন্য কারণ রাজ্য সরকারকে হিসেব দিতে হবে। এটা জনগণের টাকা। সবাইকে হিসেবে দিতে হবে। কেউ বঞ্চিত হবেন না।

৬. বুধবার সকালে পুরুলিয়ার লধুড়কার জনসভায় হাজির হতেই উপস্থিত জনতা মিঠুনের কাছে তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় ছবির সংলাপ শোনার আবদার করে। কিন্তু ‘সংগঠক’ মিঠুন সেই আবদার মেটাননি। তিনি বলেন, ‘‘ডায়লগ শোনাতে অন্য দিন আসব। আজ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলতে এসেছি।’’

৭. এক বৃদ্ধা জানান, তাঁর ষাট বছর বয়স হলেও তিনি পেনশন পান না। উত্তরে মিঠুন নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সবাই সব পাবেন। বিজেপি কাউকে বঞ্চিত করবে না। সব হিসেব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

৮. অন্য এক বিজেপি সমর্থক অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘চপের দোকান করেছি। কিন্তু চপ বিক্রি হচ্ছে না।’’ মিঠুন মমতাকে কটাক্ষ করে ওই সমর্থককে ঢপ মিশিয়ে চপ বিক্রি করতে বলেন। বলেন চপের বদলে ঢপ বিক্রি করুন, ওটা এখন ভালো বিক্রি হচ্ছে।

৯. মিঠুনকে দেখতে এসে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপ্না মুদি বলেন, ‘‘আমি সরকারি ঘর পাইনি। অনেকেই ঘর পেয়েছে, কিন্তু আমিই বঞ্চিত।’’ সে কথা শুনে মিঠুন রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন। কেন্দ্রীয় সরকারি আবাস যোজনার নাম বাংলা আবাস যোজনা করার জন্যও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।

১০. মিঠুন আরও দাবি করেন আমি বলেছিলাম, আসব,আজ এসেছি। আমি যেখানে বম্বেতে থাকি, সেখানে থেকে এয়ারপোর্ট দেড় ঘণ্টা। সকাল চারটেয় উঠেছি। প্লেন ধরেছি, এসেছি। আমি কোনও ডায়ালগ দিতে আসিনি।