আরজি কর ইস্যুতে আগামী শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। পুলিশি পদক্ষেপেই সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও ধরনা কর্মসূচি সাংবিধানিক অধিকার বলে জানিয়েছে আদালত।
আর জি কর ইস্যুতে আগামী শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। যা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় পুলিশি পদক্ষেপেই সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সদ্য হল সেই মামলার শুনানি। সেখানে বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচাপপতি স্মিতা দাস-দের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও ধরনা কর্মসূচি সাংবিধানিক অধিকার। তাঁরা জটিলতা তৈরি করলে পুলিশ অভিযান আটকাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। পাশাপাশি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আদালতের পরামর্শ, কোনও সরকারি সম্পত্তি বা পুলিশ আধিকারিকদের কোনও সরকারি সম্পত্তি বা পুলিশ আধিকারিকদের কোনও ক্ষতি সাধন না করে কর্মসূচি করতে হবে।
আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তবে, এদিন এই অভিযানে জনজীবন ব্যাহত হতে পারে আশঙ্কা ছিল অনেকেরই। সেই কারণে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করেন হাওড়ার এক বাসিন্দা। আহেই এনিয়ে হাই কোর্ট মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, নবান্ন অভিযান হলে যারা রাস্তায় বের হন তাঁদের সবক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অফিসযাত্রীদের ভোগান্তি হয়, স্কুল ফেরত বাচ্চাদের অসুবিধা হয়।
আগামী ৯ অগস্ট আরজি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের ১ বছর হবে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ৮ তারিখ শুক্রবার রাত থেকে শহরজুড়ে রাত দখল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গস জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। এদিকে মেয়ের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হয়নি বলে ফের সরব হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই নিয়ে আগামীকাল হবে কর্মসূচি। ৮ অগাস্ট রাতে শহরজুড়ে আবার হবে রাত দখল। তেমনই ৯ অগাস্ট হবে নবান্ন অভিযান।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ৯ অগস্ট কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেব। সে হাসপাতালের পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক-ছাত্রী ছিলেন। ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। দোষীকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে, নির্যাতিতা পরিবারের দাবি শুধু একা সঞ্জয় নয়, তাঁদের মেয়ের চরণ পরিণতির নেপথ্যে আরও বেশ কয়েকজন আছে। সেই দাবিতে ঘটনার ১ বছর পর ফের হবে নবান্ন অভিযান।


