Digha Jagannath Temple Prasad: জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ নিয়ে চরমে রাজনৈতিক তরজা। কোথা থেকে আসছে এই প্রসাদ? যা নিয়ে শুরু তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
নদীয়া: জগন্নাথ মন্দির থেকে নয়, আপনার এলাকাতেই মিষ্টির দোকানে তৈরি হচ্ছে দীঘা জগন্নাথ দেবের মন্দিরের প্রসাদ।আর এই প্রসাদ বিতরণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের প্রত্যেকটি রেশনের দোকান থেকে দেওয়া হচ্ছে দীঘার জগন্নাথ ধাম মন্দিরের প্রসাদ। সেই মতোই নদীয়া জেলার প্রত্যেকটি রেশন দোকান থেকে দেওয়া হচ্ছে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ।
কিন্তু এখানে উঠেছে প্রশ্ন সেই প্রসাদ আসছে কোথা থেকে, সত্যিই কি দীঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকেই সেই প্রসাদ রেশন দোকানের মাধ্যম দিয়ে পাঠানো হচ্ছে প্রত্যেকটি পরিবারের কাছে ? আর এই দীঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের প্রসাদ বিতরণকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আর এই জগন্নাথ দেবের মন্দিরের প্রসাদ হাতে পেয়েই অনেকেই মাথায় ঠেকিয়ে প্রণাম করে তা গ্রহণ করছেন। কিন্তু এই প্রসাদ আসছে কোথা থেকে ? যা জানলে আপনিও অবাক হবেন। প্রসাদ তৈরির বরাত পেয়েছেন এলাকারই বেশ কিছু মিষ্টির দোকান। আর সেই সব দোকানেই তৈরি হচ্ছে দীঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ।
এই রকমই শান্তিপুরের ফুলিয়ার মিষ্টি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস পেয়েছেন দীঘার মন্দিরের নামে এই প্রসাদ বানানোর বরাত। তিনি বলেন, ‘’এই টেন্ডারটি আমরা পাই বিডিও অফিসের মাধ্যমে। সরকার থেকে আমরা পেয়েছি ১০ টাকা প্রতি পিস গজা এবং দশ টাকা প্রতি পিস প্যারা। তবে বাক্স এবং ছবি দীঘার জগন্নাথের মন্দির থেকেই আসছে। যেহেতু এটি প্রসাদ হিসেবে দেওয়া আছে সেই কারণে সম্পূর্ণ শুদ্ধভাবে মাথায় টুপি এবং হাতে দশতানা পড়েই এই প্রসাদ আমরা প্রস্তুত করছি।''
এছাড়াও দোকান মালিক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘’জগন্নাথ মন্দির থেকে কিছু পরিমাণে ক্ষীর প্রসাদ আসে আমাদের কাছে। সেই ক্ষীরের প্রসাদ আমরা সমস্ত মিষ্টির মধ্যে একটু একটু করে মিশিয়ে সেগুলি বানাচ্ছি।'' সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের দোকান থেকে সর্বমোট ৫৩ হাজার প্যাকেট বরাত পায় । আপাতত ৯ হাজারের কিছু বেশি প্যাকেট বিতরণ করা হয়ে গিয়েছে।
এদিকে রাজ্য সরকারের এই প্রসাদ বিতরণ নিয়ে এক প্রকার রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। প্রসাদ বিতরণ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পাল্টা কটাক্ষ ছোড়া হয় বিজেপিকে।
অন্যদিকে, সিসি টিভির কড়া নজরদারির মধ্যে চলছে প্রসাদ তৈরির কাজ। দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিলি নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। হুগলীর চুঁচুড়ার চকবাজারের একটি মিষ্টির দোকান প্রসাদ তৈরির বরাত পেয়েছে। দোকানের ১২ জন কারিগর দিন রাত এক করে কাজ করছেন। দীঘার মন্দির থেকে পুজোর মহাপ্রসাদ খোয়া ক্ষীর এসে পৌঁছেছে হুগলী জেলা সদর চুঁচুড়ায়। স্নান সেরে কারিগররা প্রসাদ তৈরির কাজ করছেন। খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গজা প্য়াঁড়া।
মিষ্টির দোকান থেকে গজা প্যাঁড়া চলে যাবে চুঁচুড়া পুরসভার হলে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রসাদ বাক্সে ভরবেন। তারপর সেই প্রসাদ চলে যাবে রেশন দোকান গুলোতে। সেখান থেকে সাধারন মানুষ সেই প্রসাদ পাবেন। মিষ্টির দোকানি প্রসাদের জন্য কুড়ি টাকা করে পাবেন। মোট প্রায় ২৬ হাজার প্যাকেট প্রসাদ তৈরি হবে আপাতত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


