North Bengal News: তিস্তার জলে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক চা বাগান। অথৈ জলে চা শ্রমিকরা। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
North Bengal News: ফের বিপদের মুখে সুভাষিনি চা বাগান। ফের তোর্ষা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পঞ্চাশ মিটার বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বাগান সংলগ্ন এলাকায়। এর ফলে তোর্ষার জল চা বাগানের ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। যদিও যে অংশে বাঁধ ভেঙেছে সেখানে কোনও শ্রমিক আবাস বা ঘন জনবসতি নেই, কিন্তু বিপাকে পড়েছে বাগানের চা গাছ ও চাষের জমি। ইতিমধ্যে নদীর জল বাগানের ভিতরে ঢুকে পড়ে বহু জায়গায় ক্ষতি করছে চা গাছের।
চা বাগানে জল ঢুকে বিপত্তি:-
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ অক্টোবরও একই জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। তখন জল প্রবেশ করেছিল চা বাগানের ভিতরে। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার রাতে সেই অস্থায়ী বাঁধের প্রায় পঞ্চাশ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। ফলে ফের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বাগানের পরিকাঠামো ও চা উৎপাদনের উপর।
চা বাগানের কর্মীরা জানিয়েছেন, যদিও এখনও পর্যন্ত শ্রমিক মহল্লায় জল ঢোকেনি, তবুও যদি দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পরিস্থিতির খবর নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা না হলে প্রতি বর্ষাতেই একই সমস্যা ফিরে আসবে। তোর্ষার ক্ষিপ্র স্রোত এখন বাগানের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভেঙে গেলো কাঠের সাঁকো:-
অন্যদিকে, নদীর জলের তোড়ে ভেসে গেল বাঁশের সাঁকো। ময়নাগুড়ি ব্লকের পূর্ব বারঘরিয়া এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব বারঘরিয়া দোমুখার পার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী পার হয়ে প্রায় তিন থেকে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রানীরহাট স্কুলে যায়। এছাড়াও এলাকার বাসিন্দারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা থেকে কাঁচামাল বেচাকেনার জন্য রানীরহাট বাজারের ওপর নির্ভরশীল।
প্রতি বছরই স্থানীয়রা নিজেরাই বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন, কিন্তু বর্ষার জলে তা আবার ভেসে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে একটি পাকা সেতুর দাবিতে তারা বিডিও, ডিএম থেকে শুরু করে 'দিদিকে বলো' হেল্পলাইন সহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু শুধু আশ্বাস ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় ময়নাগুড়ি ব্লকের পূর্ব বারঘরিয়ার একটি বড় অংশের মানুষ বর্তমানে চরম সমস্যায় পড়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


