সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে ফের রহস্যমৃত্যু। বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায় এক যুবকের রহস্যমৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। টানা পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার, সকালে সেই যুবকের মৃতদেহ খুঁজে পায় পুলিশ।
রাজ্যে ফের রহস্যমৃত্যু। বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকায় এক যুবকের রহস্যমৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। টানা পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার, সকালে সেই যুবকের মৃতদেহ খুঁজে পায় পুলিশ।
এলাকার চরিচার জঙ্গলের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সেই দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, স্বাধীনতা দিবসের রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন সেই যুবক। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ সিউড়িতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ঐ যুবক। মৃতের বাবা জানান, “আমার যা হারাবার, তা হারালাম। পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করুক।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হল অশোক ঘোষ। বয়স আনুমানিক ২০ বছর। থাকতেন মহম্মদবাজার থানা এলাকায়। সেই যুবক গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। গত ১৫ অগাস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়ে হটাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। তারপরই তাঁর নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মৃতের বাবা পূর্ণচন্দ্র ঘোষ।
পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ১৫ তারিখ অশোক শেওড়াকুড়ি এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে। এরপর ঐ এলাকা থেকে নাইলনের দড়িও কেনেন তিনি। আত্মহত্যা নাকি খুন, সেই নিয়েই এখনও রীতিমতো ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
এদিকে মৃতের কাকা বলরাম ঘোষ খয়রাকুড়ি এলাকার বিজেপির অঞ্চল সভাপতি। তিনি দাবি করেছেন, ভাইপো বিজেপি করতেন। অন্যদিকে, নিখোঁজের পরে এলাকার তৃণমূল বুথ সভাপতি রবীন ঘোষ, অশোকের বাবাকে নিয়ে মহম্মদবাজার থানায় গিয়ে মিসিং ডাইরি করেন। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদবাজার-বি ব্লকের সভাপতি কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাদের দাবি অশোক আসলে তৃণমূল কর্মী।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি রবীন ঘোষ বলেন, অশোক তাদের মিছিলে যেতেন না ঠিকই। তবে তৃণমূল সমর্থক ছিলেন। অশোকের কোনও শত্রু ছিল না বলেই তারা জানেন। কোনও মহিলা ঘটিত সম্পর্কের কথাও তারা শোনেননি। তাই এই মৃত্যু তাদের কাছে যথেষ্ট অস্বাভাবিক লাগছে। তাদের কথায়, “পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য সামনে নিয়ে আসুক।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।