হাজার টাকা লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে যুবকদের ঘুগনি বিক্রি করতে বলছে মুখ্যমন্ত্রী। তার ভাইপো কি ঘুগনি বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছে? কর্মী সভা থেকে ঠিক এই ভাবেই মমতাকে তীব্র আক্রমণ মিম নেতৃত্বের।
মসজিদের জন্য হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু কেন মন্দিরের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সাসপেন্ড করা হয়নি? মালদায় এই প্রশ্ন তুলে দিল ওয়াইসির দল মিম (AIMIM)। একই সঙ্গে ওয়াকফ ইস্যু এবং কর্মসংস্থান নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন। ফিরহাদকে ওয়াকফ চোর বলে তোপ দাগেন মিম নেতৃত্ব। বর্তমানে হুয়ামুন কবীরের হাত করেছেন ওয়াইসির দল। হুমায়ুন কবীরের হাত ধরেই নিঃশব্দে মালদায় শক্তি বৃদ্ধিকরেছে মিম।
মসজিদের জন্য হুমায়ুনকে সাসপেন্ড করলে, মন্দিরের জন্য মমতাকে কেন সাসপেন্ড নয়? ওয়াকফ নিয়ে নিয়ে মিথ্যাচার করে মুসলিমদের বিপদে ফেলেছে মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকফ সম্পত্তি বাঁচাতে নয় দখল করতে চায় মমতা। হাজার টাকা লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে যুবকদের ঘুগনি বিক্রি করতে বলছে মুখ্যমন্ত্রী। তার ভাইপো কি ঘুগনি বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছে? কর্মী সভা থেকে ঠিক এই ভাবেই মমতাকে তীব্র আক্রমণ মিম নেতৃত্বের। সাথে ফিরহাদ হাকিমকে ওয়াকফ চোর বলে তোপ। ফের মালদায় শক্তি বৃদ্ধি মিমের ।
বাংলায় মিমের প্রার্থী
চাঁচল বিধানসভার বাংলা বিহার সীমান্তবর্তী মহানন্দপুরের মায়াপুরে তৃণমূল থেকে মিমে যোগদান। সেই যোগদান কর্মসূচি এবং কর্মীসভা থেকেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ। যে ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাংলা সীমান্তবর্তী বিহারের এলাকা গুলিতে ভালো ফলাফলের পর আসাদুদ্দিন ওয়েশির এবার টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ।যে কয়েকটা জেলায় মূলত মিম প্রার্থী দেবে। তার মধ্যে অন্যতম মালদা।বছরের শুরুতেই জেলায় আসার কথা ওয়েশির। বর্তমানে মূলত মিম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে ছোট ছোট কর্মী সভার মাধ্যমে সংগঠন বৃদ্ধি করছে।এখনো বড় কর্মসূচির লক্ষ্য নেয়নি তারা।
মিমের কর্মসূচি
বিভিন্ন গ্রামকে টার্গেট করে প্রথমে নেতৃত্বরা সন্ধ্যার দিকে সেই সব এলাকায় যাচ্ছে। চায়ের দোকানে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছে।কিছু মানুষকে সাথে পেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মী সভা এবং যোগদান কর্মসূচি করে সংগঠন বিস্তার করছে। কিছুদিন আগেই চাঁচল বিধানসভার মহানন্দপুরেরই বিহার সীমান্তবর্তী মায়াপুর এলাকায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করে মিম।এবার ধঞ্জনাতে। নিঃশব্দে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় এই ভাবেই তৃণমূলের ভোটব্যাংকে থাবা বসাচ্ছে ওয়েশির দল।মিমের দাবি প্রায় শতাধিক কর্মী যোগদান করেছে। যোগদানকারীদের দাবি তৃণমূল উন্নয়ন করছে না। টাকা ছাড়া কোন কাজই হচ্ছে না। তাই তারা মিম দলে যোগদান করলো। যদিও তৃণমূল এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের অভিযোগ বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছে মিম। মানুষকে ভুল বোঝাতে পারবে না।


