সংক্ষিপ্ত
চুঁচুড়ায় নামবেন বলে যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন, অনেকে গেটের সামনেও চলে আসেন। কিন্তু তাঁরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে, ট্রেন ৭ টা ৫৫ মিনিটে চুঁচুড়ায় ঢুকেও, না থেমেই ছুটে চলল। হাওড়া-বর্ধমান সুপার, চুঁচুড়ার যাত্রীদের নিয়ে একেবারে সোজা চলে যায় হুগলি স্টেশনে।
বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল হাওড়া বর্ধমান লোকালের যাত্রীরা! আবারও ট্রেন বিভ্রাট হাওড়া বর্ধমান মেন শাখায়। এবার স্টপেজে না দাঁড়িয়ে ছুটে চলল ট্রেন! পরের স্টেশন থেকে আবার আগের স্টেশনে ফিরতে হল যাত্রী নামাতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩৭৮৪৯ আপ হাওড়া-বর্ধমান সুপার ট্রেন ঘটিয়েছে এই কাণ্ড! সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে এই ট্রেন হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়েছিল। নিয়মমাফিক ভাবেই শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, চন্দননগরের পর চুঁচুড়ায় থামার কথা ছিল।
কিন্তু কোথায় কী? চুঁচুড়ায় নামবেন বলে যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন, অনেকে গেটের সামনেও চলে আসেন। কিন্তু তাঁরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে, ট্রেন ৭ টা ৫৫ মিনিটে চুঁচুড়ায় ঢুকেও, না থেমেই ছুটে চলল..। নির্ধারিত সময় থেকে ২ মিনিট দেরিতে চলা, হাওড়া-বর্ধমান সুপার, চুঁচুড়ার যাত্রীদের নিয়ে একেবারে সোজা চলে যায় হুগলি স্টেশনে। এরপর যাত্রীরা তীব্র চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। ট্রেনের চালক নিজের ভুল বুঝতে পেরে, যাত্রীদের নামাতে চুঁচুড়ার দিকে পিছিয়ে আসে ৮ টা ১ মিনিটে। এরপর যাত্রী নামিয়ে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর গন্তব্যে রওনা দেয় ট্রেন।
চালকের ভুলে নাকি অন্য কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে রেল। পূর্ব-রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন যে, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, কী হয়েছিল, তা তিনি খতিয়ে দেখছেন। হাওড়া-বর্ধমান সুপার লোকাল গ্যালপিং ট্রেনটি নিয়মিত অফিস যাত্রীদের অন্যতম ভরসা। ফলে এদিন অনেককেই সাময়িক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এমনি ট্রেন বিভ্রাটের ফলে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য আশঙ্কা দেখা যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।