North Bengal News: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় জেলেদের জালে ফের উদ্ধার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একই রকমের একটি বোমা। জানাজানি হতেই এলাকার মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

North Bengal News: ফের উদ্ধার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা। নানুরের লাউদহ সংলগ্ন অজয় নদের তীরে ফের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য। বুধবার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের তীব্রতা ও কম্পনে কেঁপে উঠেছিল গোটা লাউদহ এলাকা, আর তার পরদিনই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলেদের জালে উঠে আসে আরও একটি একই ধরনের বোমা। আগের বিস্ফোরণের স্থান থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এই দ্বিতীয় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে।

ঠিক কী ঘটেছে? 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় জেলেদের জালে ফের উদ্ধার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একই রকমের একটি বোমা। জানাজানি হতেই এলাকার মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই খবর পৌঁছয় বোলপুর থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বোমাটিকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও, যাতে কেউ নিষিদ্ধ জায়গায় প্রবেশ না করে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিস এলাকাটিকে ঘিরে রেখেছে।

প্রসঙ্গত, বুধবারের বিস্ফোরণের অভিঘাতে অজয় নদের তীরে তৈরি হয়েছিল বিশাল গর্ত, সেই কম্পনে এখনও ভীত স্থানীয়রা। নতুন করে আরও একটি বোমা উদ্ধার হওয়ায় তাদের আতঙ্ক স্বাভাবিকভাবেই বহুগুণ বেড়েছে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, একের পর এক এই ধরনের বোমা উদ্ধার হওয়ায় রাতে ঘুমোতেও পারছেন না তাঁরা। প্রশাসনের কাছে তাঁদের একটাই অনুরোধ— যত দ্রুত সম্ভব বোমাটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হোক, যাতে কোনও বিপদ না ঘটে। অজয় নদ ঘেঁষা লাউদহ অঞ্চলে এখন অজানা আশঙ্কার ছায়া। বিস্ফোরণের শব্দ থেমে গেলেও ভয়ের কম্পন এখনও গেঁথে আছে মানুষের মনে।

অন্যদিকে, আবারও হুংকার ছাড়লেন হুমায়ুন কবীর। আবারও বললেন দল ছাড়ার কথা। বৃহস্পতিবার হুমায়ূন কবীর বলেন, 'আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হোক। আমি বেরিয়ে যেতে চাইছি।' তবে তিনি এবারও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমালোচনা না করে সরাসরি মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। জেলা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথাই বলেছেন। 

হুয়ামূন কবীর বলেন, '২০২৩ সাল থেকে বলছি দুই জন ব্লক সভাপতিকে সরান। চিঠি দিয়েছে। অনুরোধ করেছি। কেউ শুনল না। ' দলের নেতা চুরি করছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'যারা বালির ঘাট থেকে তোলাবাজি করছে পুলিশের সঙ্গে ভাগ বসাচ্ছে তারা এখন নেতা হয়ে বসে আছে। ' তবে এখানেই শেষ করেননি হুমায়ূন। তিনি পুলিশের জুলুম, ক্যান্টিনের মাল বিক্রি নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন এক লরি বালি যেখানে ৪০ হাজারে পাওয়া যায় সেখানে ৫০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন এই অন্যায় তিনি মেনে নেবেন না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।