Crime News: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আড়ালে রমরমিয়ে চলত ব্যবসা। পুলিশে অভিযানে বিরাট পর্দা ফাঁস। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Crime News: লাগাতার তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল শ্বেতা খান। অভিযুক্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আড়ালে খারাপ কাজ করত বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে আলিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডোমজুড়ের ওই শ্বেতা খান নিজের ছেলেকে কাজে লাগিয়ে জোরদার চালাত এই ব্যবসা। এর আগে পুলিশ ধৃতের ছেলে আরিয়ানকে গল্ফগ্রীন এলাকা থেকে আটক করে মায়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে বুধবার তাকে আলিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শ্বেতা খান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আড়ালে নানারকম কুকীর্তির কাজ করত। আর এই কাজে তার প্রধান সহযোগী ছিল শ্বেতার ছেলে। মেয়েদেরকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে মায়ের কাছে এনে দিতো শ্বেতার ছেলে আরিয়ান খান। আরও জানা গিয়েছে, ওই সব মেয়েদের দিয়ে নানারকম ভাবে জোরকরে অপকর্ম করাত শ্বেতা। এবং বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় তার জন্যও জোর করে আটকে রাখা এবং তাদের হুমকিও দেওয়া হত।
অভিযোগ, সোদপুরের এক তরুণীকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে জোর করে আটকে রাখে শ্বেতা। তারপর ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে আসে শ্বেতার কুকীর্তি। আর তারপর থেকেই গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্ত শ্বেতা ও তার ছেলে আরিয়ান। সূত্রের খবর, বুধবার ডোমজুড় থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের যৌথ তল্লাশিতে গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে প্রথমে শ্বেতার ছেলে আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। একটানা জেরায় পুলিশের সামনে কার্যত ভেঙে পড়ে আরিয়ান।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই একাধিকবার নিজের মোবাইল নম্বর বদল করে শ্বেতা। অবশেষে আরিয়ানের থেকে পাওয়া মোবাইল নম্বর ট্রাক করে শ্বেতার সন্ধান পাই পুলিশ। এরপর বুধবার ধৃতকে আলিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিজের পোশাক বদলে বারে বারে পুলিশের চোখে গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিল শ্বেতা খান। ফলে তাকে ধরলেও সেই শ্বেতা কীনা তা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হতে পারছিল না পুলিশ। পরে তার পরিবারের লোক ছবি তুলে পাঠাতেই শ্বেতাকে শনাক্ত করা হয় এবং পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে তদন্তের স্বার্থে পুলিশি হেফাজত চাইবে পুলিশ।
অন্যদিকে, চায়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করে এক নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন কয়লাপট্টির একটি চায়ের দোকানে ৷ ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ তাকে বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ৷ দুজনেরই মোবাইল সহ ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক জিনিস ৷ সমস্ত কিছু পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ ৷
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুৃূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন কয়লাপট্টি এলাকায় চায়ের দোকান আছে সোমনাথ পণ্ডার ৷ এই দোকানেই রাত ১০টা নাগাদ চা খেতে যান ঐ নার্স ৷ এছাড়া সোমনাথ পণ্ডার সাহায্যে তার স্বামীর কাছে টাকা পাঠানোর দরকার ছিল বলেও জানায় নির্যাতিতা ৷ তার স্বামী ভিনরাজ্যে কর্মরত ৷ দোকানে বসে কথা বলার সময় চায়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ তার ৷ বেহুঁশ হয়ে পডেন তিনি ৷ বেশকিছুসময় অচৈতন্য অবস্থায় দোকানেই ছিলেন ৷ যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন দেখেন তিনি তার শরীরে পোষাক নেই ৷
কোনওরকমে পোষাক খুঁজে তা পরে রাত্রি আড়াইটা নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি ৷ ঘটনাটি তিনি তার পরিবারকে জানান ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তাকে বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ৷ নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি আদালতে তার গোপন জবানবন্দির আবেদন করা হবে বলে জানা গিয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সত্রে ৷
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


