সংক্ষিপ্ত
রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পেলে পুলিশ আধিকারিকরা যে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেন, সেটা ফের দেখা গেল।
ছবির পর্দায় এরকম দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের ছবিগুলিতে। যেখানে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যান পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু বাস্তব যে কল্পনার চেয়ে বিস্ময়কর। রানিগঞ্জে সেটা দেখিয়ে দিলেন পুলিশ আধিকারিক মেঘনাদ মণ্ডল। একটি সোনার দোকানে ডাকাতির সময় সেই অঞ্চলে গিয়েছিলেন শ্রীপুর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মেঘনাদ। তাঁর সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। সেটা নিয়ে একাই সশস্ত্র ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রশংনীয় লড়াই করলেন এই পুলিশ আধিকারিক। তাঁর গুলিতে জখম হয় এক ডাকাত। সে ধরা পড়েছে। ডাকাত দলে থাকা বাকিদের অবশ্য ধরতে পারেননি মেঘনাদ। তারা পালিয়ে গিয়েছে। তবে একজন ডাকাত ধরা পড়ায় তাকে জেরা করে বাকিদের সন্ধান পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ। মেঘনাদ যেভাবে ডাকাতদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন, তাতে তিনি এখন রানিগঞ্জের নায়ক হয়ে গিয়েছেন। রাজ্য পুলিশ মহলেও তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
রানিগঞ্জে ডাকাত দলের তাণ্ডব
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার দোকানে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা যখন বেরিয়ে আসছিল, তখনই তাদের মুখোমুখি হন মেঘনাদ। তিনি তৎপরতার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লড়াই শুরু করেন। একটি ট্রান্সফর্মার দেখতে পেয়ে সেটার পিছনে চলে গিয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন এই পুলিশ আধিকারিক। ৭-৮ জন ডাকাত সেখানে ছিল। তারাও গুলি চালাতে থাকে। কিন্তু ট্রান্সফর্মারের পিছনে থাকায় আঘাত পাননি মেঘনাদ। তাঁর সাহসিকতা ও বীরত্বে ভয় পেয়ে কোনওমতে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। তারা ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ডাকাত দলকে ধরার জন্য তল্লাশি শুরু হচ্ছে।
মেঘনাদের প্রশংসায় পুলিশ আধিকারিকরা
রানিগঞ্জের এই ঘটনায় পুলিশের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছেন মেঘনাদ। সহকর্মীদের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও তাঁর প্রশংসা করছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Crime News: ছককষে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতি নদিয়ায়, পুরুলিয়া যোগ খুঁজছে পুলিশ
বিরানব্বই বছরের বৃদ্ধাকে মুখে পলিথন গুঁজে খুন ও ডাকাতি, ১২ বছর পর ৫ দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা
ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের পর্দা ফাঁস, ডাকাতি-সহ জোড়া অপরাধের কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ