সংক্ষিপ্ত
সরস্বতী পুজের ঠিক আগে পুজো বন্ধ করতে হুমকি দিয়ে একের পর এক স্কুলের পোস্টার সেঁটে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়া জেলার নবদ্বীপে। এই ঘটনায় শঙ্কিত শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা ।
গত কয়েকদিন ধরে নবদ্বীপের বিভিন্ন স্কুলের সামনে সরস্বতী পুজো বন্ধের দাবিতে হুমকি পোস্টার দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছেন, হলুদ কাগজে লেখা পোস্টারগুলিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা যাবে না বলে দাবি করা হয়েছে ।সরস্বতী পুজের ঠিক আগে পুজো বন্ধ করতে হুমকি দিয়ে একের পর এক স্কুলের পোস্টার সেঁটে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়া জেলার নবদ্বীপে। এই ঘটনায় শঙ্কিত শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা । তবে অনেকের মন্তব্য করছেন যে, কোন বিভেদ তৈরির জন্য চক্রান্ত করে নাম ঠিকানাহীন পোস্টারগুলি লাগানো হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে । এমনকী কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে বন্দুকধারী পুলিশের পাহারায় সরস্বতী পুজোর আয়োজনের নির্দেশ দিতে হয়েছে আদালতকে। এমন আবহের মাঝে নবদ্বীপ থেকে এই চাঞ্চল্যকর খবর মিলল । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের বিভিন্ন স্কুলের সামনে গত কয়েকদিন ধরে সরস্বতী পুজো বন্ধের দাবিতে হুমকি পোস্টার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, হলুদ কাগজের পোস্টারগুলিতে লেখা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা যাবে না। পোস্টারগুলি চোখের সামনে দেখে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তাতে কোনভাবেই চাঞ্চল্য থামছে না। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টারগুলি লিখেছে সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কারও কাছ থেকে মেলেনি।
স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, তাদের শিক্ষকতা জীবনে আজ পর্যন্ত এই ধরনের নজিরবিহীন ঘটনার মুখোমুখি তারা হন নি । স্কুল হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে তো সরস্বতী পুজো হবেই । সব পড়ুয়ারা সেখানে অঞ্জলি দেয়। এটাতো চিরাচরিত প্রথা। সেটা কেউ বন্ধ করতে চাইলে মনে হয়না বন্ধ করতে পারবে। এই প্রথা ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।স্থানীয়রা জানালেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সরস্বতী পুজো করা যাবে না এই পোষ্টার দেখে সত্যিই আমরা অবাক হয়েছি। নবদ্ধীপ একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় পীঠস্থান আর সেখানে এই ঘটনা আমরা প্রথম দেখলাম। বিষয়টি নিয়ে সকলের মধ্য়েই চিন্তা বাড়ছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তারা। কে বা কারা এই ধরণের পোস্টার লিখেছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।