সংক্ষিপ্ত
পর পর কলা খাইয়েও বের করতে পারা যায়নি মোবাইল ফোন। কয়েদির কাণ্ডে ভোগান্তি জেলের রক্ষীদেরও।
জেলের মধ্যে মোবাইল ফোন পাচার করা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ ওঠে রক্ষীদের মধ্যে থেকেই। কখন, কীভাবে মোবাইল ফোন পাচার হয়ে যায়, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু, সম্প্রতি এমনই এক কাণ্ড করতে গিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হল এক কয়েদিকে। জেলের মধ্যে নিয়ম ভেঙে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখতে গিয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত দৌড়তে হল ওই নিয়ম ভঙ্গকারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেল-এ।
-
রক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখবেন, এই ফন্দি আঁটতে গিয়ে নিজের মলদ্বারের ভেতর মোবাইলটি ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন ওই কয়েদি, তাঁর নাম আসলাম শেখ। কিন্তু, নিরাপত্তার কড়াকড়ি ছিল যথেষ্ট। সেইজন্যেই অবশেষে পাকড়াও করা গেছে তাঁর কুকর্মটি। কিন্তু, মলদ্বার থেকে মোবাইল বের হবে কীভাবে? সেই চেষ্টায় কয়েদি থেকে রক্ষী, সকলেই ঘেমে নেয়ে একশা। মোবাইল ফোনটি পায়ুদ্বার থেকে বের করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল তাঁকে। বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে ওই বন্দিকে।
-
৪ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দুপুরবেলা, বারুইপুর আদালত থেকে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যান ২০ বছর বয়সি কয়েদি আসলাম শেখ। জেলে আসার আগেই মোবাইল ফোনটি সঙ্গে নিয়ে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। জেলে ঢোকার সময় গেটের সামনে পুলিশি কড়াকড়ি দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে নিজের পায়ুদ্বারের ভেতর যন্ত্রটি ঢুকিয়ে নেন আসলাম। কিন্তু, এই জালিয়াতিতে পাড় পাওয়া যায়নি। মোবাইল পরীক্ষাকারী যন্ত্রে দেখা যায় যে, তাঁর শরীরের নীচের অংশে কোনও জিনিস আটকে আছে। পরীক্ষাকারী যন্ত্রটি বারবার আওয়াজ করতে থাকে। নিরাপত্তারক্ষীরা আসলামকে চাপ দিতেই তিনি স্বীকার করে নেন যে, নিজের মলদ্বারের ভেতরে তিনি মোবাইল লুকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু, এখানেই সমস্যা শেষ হয় না।
-
আসলাম যখন নিজের পায়ুদ্বার থেকে মোবাইল ফোন বের করার চেষ্টা করেন, তখন সেটা বের করা যায়নি। তখন তাকে একের পর এক কলা খাওয়ানো হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও মোবাইল ফোনটি তাঁর শরীর থেকে বের না হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাও মোবাইল বের করতে পারেননি। সেজন্য আসলামকে বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।