সংক্ষিপ্ত

শুধুমাত্র অশালীন মন্তব্যই নয়, গভীর রাতে দলবল নিয়ে এসে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ওই স্থানীয় তৃণমূল নেতা হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ!

একসময়ে স্থানীয় তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এলাকার যুব তৃণমূল নেতা, সেই তরুণী এখন এলাকার কাউন্সিলর , একই দলের সদস্য দুজনে। কিন্তু, বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এখন তিক্ত। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে এমনই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, কাউন্সিলর রাস্তায় বেরোলে যুব-নেতা এবং তাঁর সমর্থকরা ‘বেশ্যা’ ‘যৌনকর্মী’ বলে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছেন, তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে খুন করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজপুর- সোনারপুর পৌরসভা অঞ্চলে। এখানকার কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার রীতিমতো ফেসবুক লাইভ করে প্রকাশ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতীক কুমার দে-র নামে বড়সড় অভিযোগ তুলেছেন। 

-

পাপিয়া হালদার জানিয়েছেন যে, কাউন্সিলরের পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁর ওপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধু তাইই নয়, গভীর রাতে দলবল নিয়ে এসে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতীক দে হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ! তাঁর দলের একাংশ এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে, এমনকি পাপিয়া হালদারের নাম নিয়ে বহু বেআইনি কাজও করছে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। প্রতিবাদ করলেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তোলার বখরা হিসাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে তাঁকে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিল প্রতীক দে-র দলবল, কিন্তু তিনি তা নিতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন পাপিয়া। তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভার অন্তর্গত খাস জমিও দখল করে নিচ্ছে এই দুষ্কৃতীরা। 

-

এই সমগ্র বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ এবং আতঙ্ক উগরে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে, অভিযুক্ত প্রতীক কুমার দে এই সম্পূর্ণ ঘটনার দায় ঝেরে ফেলে দিয়েছেন। তিনি পাপিয়া হালদারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের দাবি তুলেছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও তদন্ত হোক বলে দাবি করেছেন তিনি। 


আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।