সংক্ষিপ্ত
দুই দশক আগে রাজ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি। এবার যদি সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি হয়, তাহলে দীর্ঘদিন পর রাজ্যে কারও সর্বোচ্চ সাজা হবে।
বাবা নাটা মল্লিক ২০০৪ সালের অগাস্টে এক কিশোরীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসি কার্যকর করেছিলেন। ২১ বছর পর এবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি হলে তা কার্যকর করতে তৈরি নাটা মল্লিকের ছেলে মহাদেব মল্লিক। তিনি বাবার কাছ থেকে ফাঁসি দেওয়া শিখেছিলেন। ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সময় বাবার সহকারী হিসেবে ছিলেন। এবার সঞ্জয়ের ফাঁসি হলে তার গলায় দড়ি পরিয়ে ঝুলিয়ে দিতে তৈরি মহাদেব। তিনি ইতিমধ্যেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। মহাদেব জানেন, শিয়ালদা আদালত সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড দিলে সেই রায় কার্যকর করার জন্য সরকার তাঁকে দায়িত্ব দেবে। সেই দায়িত্ব পালন করতে তৈরি মহাদেব। তিনি বাবার কাছ থেকে যা শিক্ষা পেয়েছেন, তা কাজে লাগাবেন। ফাঁসি কার্যকর করতে কোনওরকম দ্বিধাবোধ করবেন না বা ভয় পাবেন না বলে জানিয়েছেন।
ফাঁসি দেওয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে তৈরি মহাদেব
বাবার সঙ্গে তিনবার ফাঁসির সাজা কার্যকর করেছেন মহাদেব। ১৯৯১ সালে প্রথমবার ফাঁসির ক্ষেত্রে বাবাকে সাহায্য করেন তিনি। সেবার জোড়া ফাঁসি হয়েছিল। কার্তিক শীল ও সুকুমার বর্মন নামে দুই ব্যক্তির ফাঁসি হয়। সম্পত্তির লোভে কাকার পরিবারের সবাইকে খুন করেছিল কার্তিক। তাকে এই ঘৃণ্য কাজে সাহায্য করেছিল বন্ধু সুকুমার। শুধু এক কিশোরী কোনওরকমে বেঁচে যায়। তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত হয় কার্তিক ও সুকুমার। বাবার সঙ্গে সেই ফাঁসি কার্যকর করেন মহাদেব। এরপর ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্সি জেলে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সময়েও বাবার সঙ্গে ছিলেন মহাদেব। এবার তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সঞ্জয়ের ফাঁসি কার্যকর করবেন রাজ্যের সবচেয়ে আলোচিত ফাঁসুড়ের ছেলে।
সঞ্জয়ের ফাঁসিই চান মহাদেব
ধনঞ্জয়ের ফাঁসির আগে রাজ্যজুড়ে পরস্পর-বিরোধী মত তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সঞ্জয়ের ক্ষেত্রে তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সবাই সর্বোচ্চ শাস্তিই চাইছেন। মহাদেবও চান ঘৃণ্য অপরাধে সঞ্জয়ের ফাঁসি হোক। তবে তাঁর বিশ্বাস, সঞ্জয় একা এই অপরাধ করেনি। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। তাদেরও শাস্তি চান মহাদেব।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
আরজি করের নির্যাতিতার যোনিতে ১৫২ গ্রাম তরল নিয়ে রহস্য অব্যাহত, তারই মধ্যে রায়দান
RG Kar Case: রুদ্রাক্ষ মালার তত্ত্ব কেন খাড়া করল দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়?